বাড়তি ক্ষমতা পেয়ে সীমান্ত এলাকায় বিএস এফের বাড়বাড়ন্ত-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা 
২০ ডিসেম্বর
সোমবার

বক্সনগর প্রতিনিধিঃ  ত্রিপুরার তিনদিকে আন্তর্জাতিক বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে। এই আন্তর্জাতিক সীমান্তের ৮০ শতাংশ কাঁটাতারের বেড়া কাজ সম্পন্ন হয়ে গেছে।

রাজ্যের তিন দিকের আন্তর্জাতিক বাংলাদেশ সীমান্তের সঙ্গে সোনামুড়া মহাকুমার বিস্তীর্ণ এলাকায় রয়েছে।সোনামুড়া মহকুমার অধিকাংশ সীমান্ত এলাকায় কাঁটাতারের বেড়ার কাজ সম্পূর্ণ না হলেও খানিকটা স্থান বেড়ার কাজ বাকি রয়েছে। এই এলাকাগুলিতে অবৈধ পাচার বাণিজ্য থাকলেও সীমান্ত এলাকার অধিকাংশ সাধারণ মানুষ কৃষিজীবী।

              হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

দীর্ঘদিন যাবৎ বিএসএফ ও গ্রামবাসীর মধ্যে সৌজন্য মূলক আচার-আচরণ ও শান্তি সম্প্রীতি মধ্যে দিয়ে জীবন যাপন করেছিল। কিন্তু সম্প্রতি সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অর্থাৎ বিএসএফের ৫০ কিমি পর্যন্ত নজরদারির বাড়তি ক্ষমতা পেয়ে সীমান্ত এলাকার পাচারকারীদের টিকির নাগাল না পেয়ে সাধারণ কৃষিজীবী সাধারণ মানুষের উপর তাদের বাড়িঘরে তাণ্ডবলীলা চালায়।এমনটাই অভিযোগ সোনামুড়া মহাকুমার সীমান্ত এলাকার শ্রমজীবী শ্রেণীর মানুষের।বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও কখনো বাজারের মুদির দোকানে আবার কখনও সাধারণ মানুষের বাড়িতে ঢুকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাণ্ডবলীলা চালিয়েছে বিএসএফ।এমনই একটি তাণ্ডবলীলার গুরুতর অভিযোগ উঠে পুটিয়া বিওপির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ করে পুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১ নং ২ নং ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার বিবরণে জানা যায় গতকাল অর্থাৎ ১৭ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ৯ ঘটিকার সময় পুটিয়া বিওপির ১৫ থেকে ১৬ জন বিএসএফ জওয়ান পুঠিয়ায় ২ নং ওয়ার্ডের বাড়িঘরে হামলা চালায়।বাড়ি ঘরে ঢুকে গ্রামবাসীকে না পেয়ে লোকজন ঘরের দরজা না খোলাতে  ঘরের দরজা ভাঙ্গা সহ টিনের বেড়া ভাঙ্গার অভিযোগ ওঠে জওয়ানদের বিরুদ্ধে। যাকে যেখানে পায় সেখানেই তাকে এলোপাতাড়ি পিটাতে থাকে।বি এস এফের এই তান্ডব লীলা দেখে যে যেখানে পারে দৌড়ে পালায়। তাদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য জঙ্গলে পর্যন্ত লুকায় গ্রামবাসী।বিএসএফের তাণ্ডবলীলা থেকে বৃদ্ধ-বৃদ্ধা,স্কুল পড়ুয়া,মেয়ে- ছেলে ঘরের বউ, শিশুর কেউ রেহাই পায়নি। প্রায় তিন ঘন্টা যাবত রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চালাতে থাকে বিএসএফ জওয়ানরা।বহু বাড়িঘর ভেঙ্গে গৃহপালিত প্রায় ২৩ টি গরু জোর করে নিয়ে যায় জওয়ানরা।এই ঘটনায় ১৯ জনের মত কমবেশি আহত হয়।এর মধ্যে দুইজন  কুদ্দুস মিয়া ও রহিমা বেগম বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। পূর্ববর্তী সময়ে রাতে তাদের বক্সনগর সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা করে বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে ঘটনাতি রাতেই পুলিশকে জানায়। পুলিশ সকালবেলা ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে যায়।পুটিয়া সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়ার ১৪৯,১৫০,১৫১ নং ও ১৫২ নং গেটের সংলগ্ন এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।এই ঘটনার বিষয়ে কলমচৌড়া থানায় লিখিত একটি মামলা করা হয়। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।অপরদিকে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অভিযোগ প্রতিদিন ফুটিয়াছে মন্ত্র দিয়ে পাচারকারীরা অভিনব কায়দায় গরু পাচার করে থাকেন।
ঠিক তার অঙ্গ হিসেবে ওই দিনও পাচারকারীরা গরু পাচার করার সময় কর্তব্যরত জওয়ানরা তাদের দাওয়া করলে গুরু পাচারকারীরা গরু নিয়ে বাড়িতে চলে আসে। জওয়ানরা পাচারকারীদের দাওয়া করতে করতে বাড়ি পর্যন্ত এসে পৌঁছায়। করে বাড়ির মধ্যে এই গরুগুলি দেখতে পেয়ে অমিতা পাচারকারী গরু গুলো অবৈধ পাচারকারীর গরু গুলো পুটিয়া বিইউপিতে নিয়ে যায়। আর তাতেই এলাকাবাসী এমন ধরনের অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে আনেন। রাতেই শেষ নয় শনিবার সকাল ১১ ঘটিকার সময় আশাবাড়ি বিওপির জওয়ানরা রহিমপুর বাজারে গিয়ে তাণ্ডব চালায়। আর তাতে সকল ব্যবসায়ী ক্ষুব্ধ হয়ে প্রায় তিন ঘন্টা বাজার বন্ধ রাখে।পরে কলমচৌড়া থানার ওসি ঘটনার নিয়ন্ত্রণে আনে। এভাবে যদি বিএসএফএছাড়া কিংবা বাড়িতে ঢুকে ভাংচুরসহ পদ্ধতি চালায় তা হলে কিভাবে সীমান্ত এলাকায় মানুষ চলাফেরা করবে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu