তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃবয়স আমার ৯০ বছর। হাঁটতে ও কষ্ট হয়। তাই কাজকর্ম করতে পারিনা আগের মতো। এমনটাই বললেন,৯০ বছর বয়সি বৃদ্ধা মঙ্গলতি রিয়াং। তেলিয়ামুড়া মহাকুমার মুঙ্গিয়াকামি ব্লকের কাঁকড়া ছড়া এডিসি ভিলেজের বাইগন সিং পাড়া।
এ পাড়ার প্রত্যেকটি পরিবারই আর্থিক ব্যাবস্থায় ভাটার টান। আর এই পরিবার গুলির মধ্যে দীর্ঘ নয় দশক ধরে মঙ্গলতি রিয়াং বসবাস করে আসছে। সরকারের কাছে বারবার তার সমস্যাগুলির ব্যাপারে ওয়াকিবহাল করে আসলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ফলে নিশ্চুপ হয়ে রয়েছে আঁখি ভরা জলে।
দীর্ঘ প্রায় ২২ বছর পূর্বে কোন এক অজানা রোগে মৃত্যু হয়েছিল তার স্বামী। খুবই কষ্ট এবং দরিদ্রতার মধ্যে থেকে ৯০ বছরে পা দিয়েছে মঙ্গলতি রিয়াং। তেলিয়ামুড়া শহর থেকে চড়াই-উৎরাই পাহাড়ি পথ পার করে যেতে হয় তেলিয়ামুড়া মহকুমার মুঙ্গিয়াকামি ব্লকের বাইগন সিং রিয়াং পাড়াতে। ওই পাড়ায় প্রত্যেকটি পরিবারে অন্ন বস্ত্র বাসস্থানের জন্য নিত্যদিন সংগ্রাম করেতে হয়। তার মধ্যে যদি সরকারি সাহায্য তাদের ভাগ্যে না জুটে তবে ভাগ্যের পরিহাস কোন জায়গায় গিয়ে দাঁড়াবে তা সবার জানা। মঙ্গলতি রিয়াং-এর অবস্থা বর্তমানে ছেড়ে দে মা কেঁদে মরি। বিগত সরকারের প্রশাসনিক ব্যাবস্থায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ঘর পাওয়ার জন্য বহুবার আবেদন-নিবেদন জানিয়ে আসছিল সেই নব্বই বছর বয়সী বৃদ্ধা মঙ্গলতি রিয়াং। কিন্তু বধীর প্রশাসনের কানে পৌঁছায় নি বৃদ্ধার আবেদন-নিবেদন।
ফলে বাধ্য হয়ে ছনবাসের কুঁড়ে আধ ভাঙ্গা টং ঘরে জীবনের ৯০ বছর পার করে দিয়েছে মঙ্গলতি রিয়াং। ঝড় তুফানে খুবই কষ্টের মধ্যে দিয়ে দিন গুজরান করতে হয় বৃদ্ধা মহিলাকে। চেয়ে ছিলেন বাধ্যক্য ভাতা। সরকারিভাবে বাধ্যক্য ভাতা পেয়ে থাকলেও সেই ভাতার টাকা ব্যাংক থেকে তোলার মতো টাকা নেই। কারন সে ভাতা ব্যাংক থেকে তুলতে গেলে ২০০ টাকা গাড়ি ভাড়া দিতে হয়। ফলে দীর্ঘ এক মাস ধরে ভাতা তুলতে যান না মঙ্গলতি রিয়াং। এদিকে তিনি আরো অভিযোগ করে জানান রেশন সামগ্রী রেশনের তুলতে গেলে আঙ্গুলের ছাপ না মেলায় দীর্ঘ প্রায় সাত মাস ধরে রেশন সামগ্রী তুলতে পারছে না। রেশন দোকানে ডিলারকে বারবার আবেদন-নিবেদন জানিও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।সরকারি সুযোগ সুবিধা গুলি তার মৃত্যুর আগে যেন করার আবেদন রাখেন সরকার বাহাদুরের কাছে। এখন দেখার বিষয় সরকার মঙ্গলতি রিয়াং দিকে চোখ তুলে তাকায় কিনা।
0 মন্তব্যসমূহ