পানিসাগর প্রতিনিধিঃ উত্তর ত্রিপুরা জুড়ে ক্রমাগতই শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন দুর্যোগ ও-দুর্ঘটনা।আজ সকালে ভূমিকম্প এর আতঙ্কে উত্তর ত্রিপুরা জেলাবাসীর নিদ্রা ভঙ্গ হয় ।
বেলা অতিক্রান্ত হতেই উত্তর ত্রিপুরা জেলার পানিসাগর মহকুমার জলাবাসা ও রৌয়া এলাকায় আনুমানিক ২ ঘটিকায়, প্রায় একই সময়ে দুটি স্থানের সংঘটিত হলো সড়ক দুর্ঘটনা। হিসাব কষে দেখলে বুঝা যায় যে উওর জেলার আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কে দিনকে দিন সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েই চলেছে।বিগত কয়েক দিন পুর্বে পানিসাগর
স্হিত খাসিয়াবাড়ি এলাকায় ঘাতক লড়ি কেঁড়ে নিল এক উপজাতি মায়ের প্রান।এর সপ্তাহ কাল যেতে না যেতেই ফের শুরু হয় নিত্যদিনকার যান তান্ডব।এরই একটি দৃশ্য
পরিলক্ষিত হয় আজ দুপুর আনুমানিক তিনটে নাগাদ।ঘটনার বিবরনে যানা যায় যে,জলেবাসা এলাকা থেকে টি,আর,০৫ বি,৫৩৪১ নম্বরের স্প্লেন্ডার বাইকে চেপে তিন জন সুপারি ব্যাবসায়ী ধর্মনগরে যাবার পথে পানিসাগর জলেবাসা ট্রাই জংশন এলাকায় পৌঁছতেই পিছন দিক থেকে আসা টি,আর,০৫ বি,০৩১৮ নম্বরের একটি অল্ট্রো গাড়ি প্রচন্ড গতিকে পাশ কাটিয়ে পানিসাগরে যাবার সময় তিন বাইক আরোহী নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সজোরে ধাক্কা মারে অল্ট্রো গাড়িটিতে।সাথে সাথেই রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে তিন বাইক আরোহী।জানা গেছে সোনা মিয়া(৬০) এবং বাইক চালক
জামাল উদ্দিন(২৩) আহত হয়।অপর এক আরোহী আমজাদ আলি(১৮) অক্ষত অবস্হায় রক্ষা পায়।এদের সকলেরই বাড়ি ধর্মনগর স্হিত শাখাই বাড়িতে।ঘটনার পর পরই অল্ট্রোচালক প্রদিপ দেব নাথ,বাড়ি জলেবাসা এলাকা মাধবপুর স্হিত বড়বাড়ির বাসিন্দা নিজ গাড়ি করেই তিন জনকে পানিসাগর হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডঃ সন্দিপ নাথ প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের ছেড়ে দেয়।তবে আহতদের সকলের বাড়ি ধর্মনগরে হওয়াতে এরা উভয়েই ধর্মনগরে চলে যায়।দূর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় পানিসাগর থানার পুলিশ এবং দূর্ঘটনা গ্রস্ত বাইকটিকে থানায় নিয়ে আসে।তবে সংবাদ সংগ্রহ পর্যন্ত দূর্ঘটনা গ্রস্ত গাড়িটিকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে আসা হয়নি বলে জানা গেছে পানিসাগর পুলিশ সুএে।
0 মন্তব্যসমূহ