পানিসাগরপ্রতিনিধিঃসেপ্টেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ অতিক্রান্ত হওয়ার পরও চুলা জ্বালাতে পারছেন না রাজ্যের ইটভাটার মালিক গন। উত্তর ত্রিপুরা সহ গোটা রাজ্যে প্রায় চারশতের উপর ইটভাটা রয়েছে। প্রতি বৎসর শারদ
উৎসবের আগে থেকেই ইটভাটাগুলোতে বহি রাজ্য থেকে শ্রমিকরা এসে পৌঁছে যায়। সেই অনুসারে এবছরও শ্রমিক ও অন্যান্য কাঁচামাল সংগ্রহ করা গেলেও মালিকপক্ষ এখন পর্যন্ত ইটভাটার গুরুত্ব পূর্ণ জ্বালানি কয়লা সংগ্রহ করতে পারছেন না।প্রতি বৎসরের নভেম্বর মাস শুরু হওয়ার সাথে সাথেই প্রায় প্রতি প্রত্যেকটা ইটভাটায় কাঁচা ইট জ্বালানি
প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়। এ বৎসর এখন পর্যন্ত কয়লা সংগ্রহ করতে না পারায় বন্ধের মুখে ইটভাটা গুলি। তাই ইটভাটা শ্রমিকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পরিলক্ষিত হচ্ছে। ইটভাটার মালিক ও শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়- সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রতিটি ইটভাটায় মাসে প্রায় ৮ থেকে ৯ লক্ষ ইট উৎপাদন করা যায়, কিন্তু এ বৎসর শুধু কয়লা সংকটের কারণে উৎপাদন এক প্রকার বন্ধ করতে বাধ্য । ত্রিপুরা রাজ্যের বেশিরভাগ কয়লায় পার্শ্ববর্তী মেঘালয় রাজ্য থেকে আসে। মেঘালয় থেকে কয়লা আসা বন্ধ হয়ে গেলে এই প্রভাব রাজ্যে এসে পড়ে। বিশেষ সূত্রের খবর মেঘালয় সরকার ত্রিপুরা রাজ্যে কয়লা সরবরাহ করতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তার বিশেষ কারণ চুড়াইবাড়ি গেইট সহ অন্যান্য গেইটে বিশেষ সমস্যা রয়েছে। মেঘালয় সরকার এর কয়লা
সরবরাহ করতে কিছুটা আইনি ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকার কারণে ত্রিপুরা রাজ্যে এবছর এখন পর্যন্ত কয়লা সরবরাহ করতে পারছে না। বাংলাদেশ হয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে রাজ্যে কয়লা আসলেও চাহিদার তুলনায় অনেক কম। আসাম রাজ্যের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে চলছে। তাতে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ সহ বর্তমানে আবাস যোজনায় প্রাপ্ত বেনিফিসারীরা সমস্যায় পড়েছেন বলে লক্ষ্য করা যায়। সব মিলিয়ে কয়লা সংকটের কারণে অর্থনৈতিক দিক থেকে বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে রাজ্য। তাই কয়লা সংকটের দ্রুত সমাধান করতে রাজ্য সরকারকে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট মহল।
0 মন্তব্যসমূহ