মুখ্যমন্ত্রীর হাতধরে উদ্বোধন জেলা সার্কিট হাউসের নতুন ভবন ও জেলা সংশোধনাগার। Sabuj Tripura

সবুজ ত্রিপুরা 
৭ আগস্ট
শনিবার
 
ধর্মনগর প্রতিনিধিঃ  শনিবার রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে ধর্মনগরে দুটি নবনির্মিত দালানের উদ্বোধন হলো। একটি ধর্মনগরে সরকারী সারকিট হাউসের নতুন ভবন ও অপরটি জেলা সংশোধনাগার। দুটি ভবনের উদ্বোধনে


বেলা ১২ টায় ধর্মনগরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব।প্রথমে ধর্মনগর জেলরোড স্থিত সরকারী সার্কিট হাউসের উদ্বোধন করেন তিনি। উদ্বোধনের পরে নবনির্মিত সার্কিট হাউসের প্রতিটি কক্ষ পরিদর্শন করেন। সেখান থেকে 


মুখ্যমন্ত্রী চলে যান ধর্মনগর কালিকাপুর স্থিত জেলা সংশোধনাগারের উদ্বোধনে। সেখানে প্রথমেই উত্তর ত্রিপুরা পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে সরকারি সম্মানের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়। তারপর মুখ্যমন্ত্রী জেলা সংশোধনাগারের 

ফিতাকেটে ও ফলক উন্মোচণকে উদ্বোধন করেন।এবং নবনির্মিত জেলা সংশোধনাগারটি পরিদর্শন করেন। সংশোধনাগারেরর পরিদর্শনের পরে জেলা সংশোধনাগারের সম্মুখ ভাগে একটি সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে মিলিত হন।অনুষ্ঠানের স্বাগত ভাষনে উত্তরের জেলা শাসক নাগেশ কুমার জানান ধর্মনগর সার্কিট হাউসের নতুন ভবন নির্মাণে খরচ হয় ৫.৪২ কোটি টাকা। 



নতুন ভবনে ৬টি ভিভিআইপি কক্ষ ৮ টি ভিআইপি কক্ষ ও একটি ডরমেটরি রয়েছে। এবং উত্তর জেলা সংশোধনাগার ১৬.১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হয়েছে। জেলা সংশোধনাগারে পুরুষ মহিলা মিলে ১৩৫ জন আসামী রাখার ব্যাবস্থা রয়েছে। স্বাগত ভাষনের পরে অনুষ্ঠান মঞ্চে আলোচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী 

বিপ্লব দেব।তিনি বলেন গোটা রাজ্যেকে বর্তমান নতুন সরকার বিভিন্ন ভাবে পরিকাঠামো গত ভাবে উন্নয়ন করে চলেছে। গ্রাম থেকে শহর , শহর থেকে পাহাড়ের উন্নয়ন এই হচ্ছে সরকারের লক্ষ্য।এই লক্ষ্যে রাজ্যের রাস্তা, পানিয় 

জল,বিদ্যুৎ তের উন্নয়ন হচ্ছে । ইতিমধ্যে জাতীয় সড়কের জন্য ২০২০ইং তে ২৭৫২ কোটি টাকার ৯ টি প্রকল্প ঘোষনা করেছেন কেন্দ্রীয় সরকার । ৭৫৩০ টাকার আরো প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ১১০০০ কোটি 

টাকার জাতীয় সড়কের কাজের ঘোষনা করেছে কেন্দ্র । এটাই ডবল ইঞ্জিনের সরকার। কোভিডের মধ্যেও প্রধান মন্ত্রী ৬লক্ষ ৩০ হাজার পরিবারের জন্য রেশন দিয়েছে। ৭ লক্ষ পরিবারের একাউন্টে ১০০০ টাকা করে দিয়েছে। বীগত সরকার ১০ পয়সা করেও কাউকে দেননি। এটা বাম সরকারের মানসিকতার অভাব। মুখ্যমন্ত্রী রিলিফ প্যাকেজের মাধ্যমে ১৫ দিনের মধ্যে ৭ লক্ষ পরিবারের রেশন দেওয়া হয়েছে। টিকা করন নিয়ে ও বিরোধীরা অপপ্রচারের করেছিল 


কিন্তু ত্রিপুরায় ৯২% জনগন প্রথম ডোজে নিয়েছে। যা গোটা দেশের মধ্যে টিকা গ্রহনে প্রথম স্থানে ত্রিপুরা । আগে মানুষ ত্রিপুরাকে চিনতো না। এখন ত্রিপুরায় বাসকরুলের বিস্কুট তৈরি হচ্ছে। ত্রিপুরার কুইন আনারস বিদেশে রপ্তানি হতো।আগে ত্রিপুরায় আগর ছিল কিন্তু তার কোন ব্যাবসা ছিলনা। এখন রাজ্যের 


আগর কেন্দ্রের সহযোগিতায় বাজারযাতের পরিকল্পনা চলছে। শনিবার মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী তার আলোচনার মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের দিক তুলে ধরেন। শনিবার ধর্মনগরের দুটি ভবনের উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে ছিলেন রাজ্য বিধানসভার উপাধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন ছিলেন উত্তর ত্রিপুরা জেলা পরিষদের সভাপতি ভবতোষ দাস ও অন্যান্যরা ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu