সবুজ ত্রিপুরা
২৭ এপ্রিল
মঙ্গলবার
বিশেষ প্রতিবেদন:- গতকাল রাতে আগরতলায় পূর্ব অনুমতি নিয়ে এক বিবাহবাসরে বৈদিক বিধি মেনেই বিবাহ অনুষ্ঠান চলছিল। হিন্দু রীতি অনুসারে পুরোহিতের উপস্থিতিতে অগ্নি সাক্ষী রেখে বিবাহের নিয়ম অতি প্রাচীন কাল থেকেই চলে আসছে। কিন্ত গতকাল রাতে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাশাসক ডাঃ শৈলেশ কুমার যাদব এর অমানবিক ব্যবহারের সাক্ষী হলো আগরতলা সহ গোটা রাজ্য।
জেলাশাসক আইনের দোহাই দিয়ে নিজেই আইন হাতে তুলে নেন। মহিলা পুলিশ ব্যবহার না করে উনি নিজেই মহিলাদের জোর করে তাড়িয়ে দেন, তা কতটা আইন সঙ্গত, তাই এখন বড় প্রশ্নের? অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ দিতেও দেখা গেছে জেলাশাসককে । মহিলাদের সামনে এই সব
গালি গালাজ দিতে দেখে অনেকেই উনার পারিবারিক শিষ্টাচার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ভিডিও তে স্পষ্ট দেখা গেছে একজন মহিলা প্রশাসনের অনুমতির কাগজ জেলাশাসকে দেখতে গেলে, উনি তা না দেখেই ছিড়ে ফলে দেন ।
প্রমান গায়েব করা এবং অন্য দিকে আইনকে হেনস্থা করাই কি মূল লক্ষ ছিল? এখন এটাই জনগনের প্রশ্ন। এখানে পুরোহিত বৈদিক মন্ত্র পড়ে বিবাহ করাচ্ছিলেন এবং উনার গায়ে আঘাত করে উনাকে তাড়িয়ে দিতে দেখা গেছে।
এক্ষেত্রে জেলাশাসকের অমানবিক ব্যবহার এবং সংবিধানের মৌলিক অধিকারের প্রতি বিরুদ্ধাচরণ কতটুকু আইন সংগত, এটাই এখন রাজ্যের মানুষের মুখে মুখে ।
যদিও রাজ্যের এমপি শ্রীমতি প্রতিমা ভৌমিক আজ সাংবাদিকের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে গতকাল রাতের ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এখন এটাই দেখার প্ৰশাসনে উর্ধতন কর্তিপক্ষ নিরপেক্ষ তদন্ত করে এক্ষেত্রে কি কি ব্যবস্থা নেন ?
0 মন্তব্যসমূহ