সবুজ ত্রিপুরা
১৭ এপ্রিল
শনিবার
পানিসাগর প্রতিনিধি:- নববর্ষের দ্বিতীয় দিনেই উত্তর ত্রিপুরা জেলার পানিসাগর মহকুমার অন্তর্গত পূর্ব জলাবাসায় মাধবপুর ২ নং ওয়ার্ড এলাকায় স্ত্রীকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা , এবং মাকে গুরুতর আহত করলো ঘাতক পুত্র । ঘটনার বিবরণে জানা যায় উক্ত এলাকার বসবাসকারী শ্রী কর্ণ মনি নাথের ৩৫ বছর বয়সী দ্বিতীয় পুত্র দিলীপ নাথ নিজের ২৭ বছর বয়সে স্ত্রী সনজিতা নাথ সহ এক কন্যা ও পুত্র সন্তান নিয়ে পিতা-মাতার থেকে আলাদা বশবাস করতেন । গতকাল নববর্ষের প্রথম দিনে নিজ বাড়িতে পিতা-মাতাসহ অন্যান্য ভাই এর পরিবারের লোকজনদের কে নিমন্ত্রণ করে নিজ বাড়িতে মধ্যাহ্ন ভোজনের আয়োজন করেছিল । সে অনুসারে আত্মীয়-স্বজনরা গতকাল তার বাড়িতে নিমন্ত্রণ খেতে গিয়েছিলেন । গতকাল রাত অব্দি দিলীপ নাথ ও তার স্ত্রী সনজিতা নাথ সাধারণ জীবনযাত্রায় পরিলক্ষিত হয়েছিল ।
আজ তথা নববর্ষের দ্বিতীয় দিনেই সকাল আনুমানিক ৯ ঘটিকায় দিলিপের বাড়িতে চিৎকার-চেচামেচি শুনতেপেয়ে দিলীপ নাথ এর ৬০ বছরের বৃদ্ধা মা কিরণ বালা নাথ ছেলে দিলিপের ঘরে ছুটে যান । তখন দিলীপ ধারালো দাও নিয়ে স্ত্রীর উপর আক্রমণ চালায় । পুত্রবধূকে বাঁচাতে গিয়ে এগিয়ে আসলে ঘাতক দিলীপ নাথ জন্মদাত্রী মা কেও দায়ের কোপ বসিয়ে দেয় । ততক্ষণে স্ত্রীর বা হাতের কব্জি দুই টুকরো হয়ে মাটিতে পড়ে যায় । ততক্ষণে চিৎকার চেঁচামেচিতে পাড়া প্রতিবেশীরা ছুটে আসলে এবং পরিবেশ উত্তপ্ত অবস্থায় পৌঁছেগেলে , ঘাতক দিলীপ নাথ ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রতিবেশীদের মারমুখী হয়ে তেড়ে আসে । ঘাতক দিলীপ নাথ প্রায় ঘন্টা খানেক তাণ্ডব চালিয়ে নিজ বাড়ির পেছনদিকে পালিয়ে যায় ।
স্থানীয় থানায় খবর পাঠালে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে উপস্থিত এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানতে পারে যে বাড়ির অদূরে এক জঙ্গলাকীর্ণ উঁচু টিলা দিয়ে ঘাতক দিলীপ নাথ ধারালো দাও হাতে নিয়ে পালিয়ে যেতে দেখতে পেয়েছেন । সাথে সাথে উপস্থিত এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আহত মা ও স্ত্রীকে স্থানীয় হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় । ততক্ষণে ঘাতক দিলীপ নাথের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে স্ত্রী প্রাণ হারায় । উপস্থিত পুলিশ কর্মীগন সহ এলাকার জনগণ লাঠি ডান্ডা নিয়ে এলাকায় জঙ্গলাকীর্ণ স্থানগুলি চিরুনি তল্লাশি করে ঘাতক দিলীপ নাথ কে ধরে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন হাতে তুলে দেন । এবং দোষী কে তদন্তক্রমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করে এবং এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে হত্যাকারীর ফাঁসির দাবি জানান।
0 মন্তব্যসমূহ