সবুজ ত্রিপুরা
১৭ এপ্রিল
শনিবার
বিশালগড় প্রতিনিধি:- সরকারি উন্নয়নের নজর থেকে বঞ্চিত ডুকলী আর ডি ব্লকের অন্তর্গত আমতলী বিবেক নগরের শ্রীরামকৃষ্ণ পাঠশালা নামে বিদ্যালয়টি । এই স্কুলটি মূলত প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত । এই স্কুলে সর্ব মোট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৮২ জন । আর তাদের পাঠদানের জন্য রয়েছেন মাত্র দুইজন শিক্ষিকা তাদের মধ্যে একজন হলেন বাণী মারাক উনি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্বে রয়েছেন আরেকজন শিক্ষকা হলেন স্বপ্না ঘোষ । প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত অন্তত পাঁচজন শিক্ষক-শিক্ষিকার প্রয়োজন আর রয়েছেন মাত্র দুইজন ।
এই বিদ্যালয়টিতে শুধু শিক্ষক-শিক্ষিকার অভাব নয় রয়েছে পানীয় জলের সমস্যা । স্কুলের পেছনে রয়েছে জলের লাইন তা দিয়ে যে জল বের হয় তা একেবারে আয়রন যুক্ত জল যা খাবার অযোগ্য । কিন্তু তারপরেও স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা তাদের তৃষ্ণা মেটানোর জন্য এই আয়রন যুক্ত জল পান করতে হচ্ছে । স্কুলের পেছনে রয়েছে একটি অকেজো অবস্থায় জলের ট্যাঙ্ক । স্কুলের নেই কোন ফিল্টার আর যে দুটি ফিল্টার দেখা গেছে সেগুলি অকেজো হয়ে পড়ে আছে । এই পর্যন্ত রাজ্যের গ্রামাঞ্চলের অনেক স্কুলের সমস্যার চিত্র বিভিন্ন নিউজ চ্যানেলে প্রকাশিত হয়েছে । তারপরেও কি বেপাত্তা হয়ে আছেন রাজ্যের মাননীয় শিক্ষা মন্ত্রী ? ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছে সেই সমস্যা গুলি বিরাট ।
শিক্ষা ব্যবস্থার কোনো ত্রুটি থাকলে তা সম্পূর্ণ করে দেওয়ার দায়িত্ব রাজ্য সরকারের কিন্তু সরকার সবকিছু জানা সত্ত্বেও সমস্যার জর্জরিত স্কুল গুলির জন্য এখন পর্যন্ত কোনো ভূমিকাই পালন করছেন না । স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার জানিয়েছেন তাদের এই সমস্যা গুলির কথা শিক্ষা দপ্তরকে জানিয়ে ছিলেন কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন সমস্যার সমাধান হয়নি । কবে নাগাদ এই সমস্যার সমাধান হবে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা স্পষ্ট কিছুই বলতে পারছেন না কেননা পুরোটাই দেখার দায়িত্ব রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের । রাজ্যের অভিভাবক মহল এবং শুভবুদ্ধি মহলের প্রশ্ন ছাত্র-ছাত্রীরা ভবিষ্যৎ ঘোরার জন্য প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে । তারাই আজ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত কিন্তু সরকার তাদের দিকে কবে মুখ তুলে তাকাবে ? তাই স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা এবং ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি শীঘ্রই যেন তাদের স্কুলের এই সমস্যাগুলো সমাধান করার উদ্যোগ নেয় রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর ।আমতলী থেকে নিজস্ব প্রতিনিধির রিপোর্ট ।
0 মন্তব্যসমূহ