সবুজ ত্রিপুরা
২৬ এপ্রিল
সোমবার
ধর্মনগর প্রতিনিধি:- প্রতি দিন রাজ্যে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু খোদ ধর্মনগর জেলা হাসপাতাল যেন বর্তমানে করোনা বিস্তারের মুক্তঞ্চল । তার ওই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে প্রতিনিয়ত । দেশে করোনার আগমনের পরে করোনার সাথে লড়াইয়ের উদ্দেশ্যেই অনান্য হাসপাতালের মত ধর্মনগর জেলা হাসপাতালের পরিকাঠামোর বেশ পরিবর্তন করা হয়েছিল । যেমন আশঙ্কাজনক কোভিড রোগীদের চিকিৎসার জন্য জেলা হাসপাতালের স্থায়ী বহির্বিভাগের একটা অংশে সপ্ল বেডের কোভিড কেয়ার সেন্টার তৈরি করা হয় । আর বহির্বিভাগের পেছনের অংশে সীমিত পরিসরে বহির্বিভাগের ব্যাবস্থা করা হয় ।
ফলে বর্তমানে বহির্বিভাগে যাতায়াতের মূল রাস্তাটি পরিবর্তন করা হয় । বর্তমানে বহির্বিভাগে চিকিৎসার জন্য আসা রোগীদের হাসপাতাল বিল্ডিং এর পেছনের দরজা দিয়ে ঢুকতে হয় । কিন্তু সদ্য লক্ষ্য করা গেছে যে বর্তমানে দূরদূরান্ত থেকে হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসার জন্য আসা রোগীরা যে রাস্তা দিয়ে বহির্বিভাগে প্রবেশ করে ঐ রাস্তার পাশে তৈরি করা হয়েছে কোভিড পরীক্ষার চেম্বার । এর ফলে বহির্বিভাগে আসা রোগীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে । কেননা যে রাস্তাদিয়ে রোগীদের বহির্বিভাগে যেতে হয় ঐ রাস্তায় করোনা পরীক্ষার চেম্বার থাকায় যে কোন সময় সাধারণ মানুষ করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসতেই পারে এবং খুব সহজেই ছড়িয়ে পরতে পারে করোনা । একি রাস্তা দিয়ে প্রসূতি মায়েরাও তাদের রুটিন চেকঅ্যাপ এর জন্য আসেন । আর ঐ একি রাস্তার মধ্যে করোনার সোয়াব সংগ্রহের চেম্বার থাকায় তাদের মধ্যেও করোনা ছড়ানোর সম্ভাবনা প্রখর হয়ে উঠেছে ।
করোনা পরীক্ষার চেম্বারটি যদি এমন জনবহুল স্থান থেকে সরিয়ে একটূ পৃথক স্থানে ব্যাবস্থা করা হতো তবে হয়তো করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে সাধারণ জনগন আসতো না । পাশাপাশি গোটা জেলা হাসপাতালে ওপিডি কিংবা ইমার্জেন্সি প্রতিটি স্থানেই রয়েছে হাসপাতালে আসা জনগনের উপচে পরা ভীড় । যদি হাসপাতালের মত একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দপ্তরের গাফিলতি থাকে তবে তো নিমেষেই করোনা হাসপাতাল থেকেই গোটা জেলায় হু হু করে ছড়াবে । জেলা হাসপাতালে বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীও রয়েছে । দপ্তর অবশ্যই একটু সচেতনতা অবলম্বন করে নিরাপত্তা রক্ষীদের সাহায্যে করোনা নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন সতর্কতা গুলো মেনে চলার জন্য হাসপাতালে আসা জনগনদের সাহায্য করতে পারে ।
0 মন্তব্যসমূহ