সবুজ ত্রিপুরা
০৪ মার্চ ২০২১
বৃহস্পতিবার
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ধর্মনগরে ট্রাফিক দপ্তরের খামখেয়ালি ও উদাসীন বিচরণে সমস্যায় আমজনতা। শহরে প্রতিদিন বাড়ছে যানবাহন, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে যান দুর্ঘটনা। কিন্তু শহরে অবাধে চলছে কাগজ পত্র বিহীন অধিকাংশ যানবাহন। অধিকাংশ ছোট-কিংবা বড় গাড়ির নেই ফিটনেস নেই ইনসিওরেন্স নেই আরো বহু বৈধ কাগজ।
মেয়াদোত্তীর্ণ কাগজ পত্র নিয়েই যে সকল গাড়ি অবাধে ছুটছে শহরে তাদের আটক করা তো দূরের কথা বরং তাদের জামাই আদরে সাধারন কথাবার্তার মধ্যে দিয়েই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। ট্রাফিক দপ্তরের এই ভূমিকায় ধারনা করা হচ্ছে যে বৈধ কাগজপত্র বিহীন গাড়ি গুলোর সাথে দপ্তরের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্তাবাবুদের কোন গোপন শলাপরামর্শ রয়েছে। তাই উনারা জেনেশুনেই কাগজপত্র বিহীন গাড়ি গুলোকে অনায়াসে শহরে চলতে দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে ট্রাফিক কর্তাবাবুদের জিজ্ঞেস করলে তারা সাংবাদিকদের নানা অজুহাতে এড়িয়ে চলেন ।এতে ট্রাফিক দপ্তর এর ভূমিকায় আরো সন্দেহ সৃষ্টি হয়।বর্তমানে ধর্মনগরের ট্রাফিক দপ্তরের ভূমিকা এমন জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে যে। কিছু কিছু গাড়ি নাম্বার ছাড়াই শহরে মাল বোঝাই করে চলাচল করছে।
বিগত কিছুদিন পূর্বে এমননি একটি নাম্বার বিহীন টিপার গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। আশ্চর্যজনকভাবে পরবর্তীতে ওই গাড়িটির বিরুদ্ধে কোনো রকম ফাইন কিংবা আইনি ব্যবস্থা ছাড়াই ছেড়ে দেওয়া হয়। এমনকি নাম্বার বিহীন গাড়িটি সাথে যে গাড়িটির দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল এই গাড়িটি চালকের আসনে বসেছিলেন অপ্রাপ্ত বয়স্ক এক কিশোর। তা জেনে শুনেও ট্রাফিক দপ্তর সেক্ষেত্রেও কোন ভূমিকা গ্রহণ করেননি। দপ্তরের এহেন কাণ্ডকারখানায় সাধারন জনতারা এখন আতঙ্কিত ।কেননা শহরে যানবাহন বাড়ার সাথে সাথে দুর্ঘটনার আশংকা বৃদ্ধি পাচ্ছে ফলে যদি কোনো নিরীহ পরিবার কোন কাগজপত্র বিহিন গাড়ির দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তবে ওই পরিবারটির ইন্স্যুরেন্সের অর্থ মিলবে না । এতে জীবন বিপন্ন হয়ে পড়তে পারে যে কোনো নিরীহ পরিবারের।
তবে একাংশের মতে ট্রাফিক দপ্তরের এমন খামখেয়ালী এবং কর্তব্য হীনতা আগে দেখা যায়নি ধর্মনগরে। বর্তমানে কিছু নতুন ট্রাফিক বাবুর আগমনের পরে অনেকটা ঢিলেঢালা হয়ে পরেছে শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থা। আর এই সুযোগে একাংশ যুবকেক বাইক নতুবা ছোট গাড়ি চলাচলের উশৃঙ্খল তান্ডব দেখা যায়। কিন্তু তাতেও দপ্তর নীরব ভূমিকা পালন করেন।
0 মন্তব্যসমূহ