বিশালগর প্রতিনিধিঃ গরীব দুস্থ ও অভাবী মানুষের সাহায্যার্থে নিজেকে বিলিয়ে দেন অনেকটা লোকচক্ষুর অন্তরালে বিশালগড়ের সাংবাদিক প্রসেনজিৎ রায় ছদ্মনাম ব্রাত্য রায়। গরীব ও অভাবী মানুষের কোন ধরনের সাহায্যের প্রয়োজন হলে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী সব সময় সাহায্য করার চেষ্টা করেন সাংবাদিক প্রসেনজিৎ। এই মরশুমে শীত জাঁকিয়ে পড়েছে ধরতে গেলে ১৫ থেকে ২০ দিন হয়েছে। এই অল্প কয়েকদিনের মধ্যে ১০২ জন গরিব মানুষকে কম্বল বিতরণ করেছেন লোকচক্ষুর অন্তরালে।কেউ ঘুনাক্ষরেও টের পাইনি।তাছাড়া প্রতিবছর দুইটি গরিব পরিবারকে বিয়ের সাহায্য বাবদ ১০০০০ টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকা সাহায্য দেন। এর মধ্যে একটি হিন্দু পরিবার এবং একটি মুসলমান পরিবার থাকে। বিশালগড় বাজারে সাত থেকে আটজন ভবঘুরে থাকে। প্রতিরাতে এসমস্ত ভবঘুরেদের খাবার বাবদ ২০ টাকা করে সাহায্য দেন প্রসেনজিৎ রায়।
মহকুমার গরীব ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য প্রতিবছর বিশালগড় নিউমার্কেট মর্ডান বুক হাউসে সাড়ে সাত হাজার টাকা সাহায্য করেন তিনি। এই মডার্ন বুক হাউজ থেকে গরীব ও অভাবী ছাত্রছাত্রীরা প্রতিবছর বই-খাতা-কলম বিনামূল্যে নিতে পারেন। এই ব্যয় ভার বহন করেন প্রসেনজিৎ রায়। লকডাউন এর সময় পঞ্চাশটি গরিব পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন প্রসেনজিৎ রায়। প্রতিবছর ২২ জন ড্রপ আউট ছাত্র-ছাত্রীদেরকে মূলস্রোতে ফিরিয়ে এনে নিজের স্কুল এভারগ্রীন ইনস্টিটিউটে বিনামূল্যে পড়াশোনার ব্যবস্থা করেন প্রসেনজিৎ রায়। ২০১০ সনে আকলিমা খাতুন নামে এক মেধাবী ও অভাবে ছাত্রীকে মাধ্যমিক থেকে কলেজ পর্যন্ত পড়াশোনা করিয়েছেন সাংবাদিক প্রসেনজিৎ। যে মেয়েটি আজ একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে ভালো পোস্টে চাকরি করে।
জান্নাতুল আক্তার নামে এক মেধাবী ছাত্রী সহ গোটা পরিবারের অন্যান্য ভাই বোনের পড়াশোনার ক্ষেত্রে সাহায্য করেছেন তিনি। অভাবী মানুষের সাহায্যার্থে সবসময় নিজেকে বিলিয়ে দেন কোনদিন এসমস্ত সাহায্যের ব্যাপারে মিডিয়ার সামনে মুখ খুলতে দেখা যায়নি সাংবাদিক প্রসেনজিৎকে। শেষ পর্যন্ত আজকে কম্বল দিতে গিয়ে অন্য আরেক সাংবাদিকের চাপাচাপি তে শেষ পর্যন্ত মুখ খুলতে বাধ্য হন প্রসেনজিৎ। তাছারা ২০১০ সালে সপরিবারে মরণোত্তর দেহদান চক্ষুদান প্রসেনজিৎ রায়। এখন পর্যন্ত ৪৩ বার রক্ত দিয়েছেন। ২০১০ সালে সর্বপ্রথম রিক্সা শ্রমিকদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণের মধ্য দিয়ে এই হেল্প ফুল মানসিকতা উনার মধ্যে গড়ে উঠেছে বলে জানিয়েছেন।
বিগত ১০ বছর ধরে নীরবে-নিভৃতে অনেকটা লোকচক্ষুর অন্তরালে গরিব মানুষদের সাহায্য করে চলেছেন। মহকুমার কোন জায়গায় কোন অভাব এবং গরীব মানুষের সাহায্যের প্রয়োজনের বিষয়টি কানে আসলেই নিজেকে আটকে রাখতে পারেন না।অনেক মসজিদেও প্রায় সময় চাল বিতরণ করেন উনি। বিশালগড় মহকুমায় অভাবী মানুষের সাহায্যার্থে যে মানুষটির নাম বিশালগড় মানুষের মুখে মুখে তার মধ্যে অন্যতম হলো সাংবাদিক প্রসেনজিৎ রায়। যার লেখনীর মাধ্যমে আগুন ঝরে। এক ডাকে ব্রাত্য নামে যা কে চেনে গোটা রাজ্যের সাংবাদিক মহল থেকে শুরু করে রাজ্যবাসী। লোকচক্ষুর অন্তরালে আরো অনেক অভাবী মানুষকে সাহায্য করেছেন প্রসেনজিৎ যার তালিকা তৈরি করা প্রতিবেদক এর পক্ষে সম্ভব হয়নি। তিনি জানিয়েছেন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত দুস্থ ও অভাবী মানুষের সাহায্যের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দেবেন এই মহৎ কাজে কখনো পিছিয়ে আসবেন না।
0 মন্তব্যসমূহ