ধর্মনগর প্রতিনিধিঃ দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে রাজ্যের ১০৩২৩ শিক্ষকদের চাকরি থেকে বাদ দেওয়ার পর গোটা রাজ্যে শিক্ষক স্বল্পতা দেখা দিয়েছে। যদিও বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কারণে এর প্রভাব খুব একটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। কিন্তু রাজ্য সরকার এই শিক্ষক স্বল্পতার কথা আগেই আন্দাজ করতে পেরে কেন্দ্রের নিকট টেট পরীক্ষায় বসার জন্য এককালীন ছাড়ের আবেদন করেছিলেন। রাজ্য সরকারের আবেদনে কেন্দ্রীয় সরকার ছাড়ে মঞ্জুরি দিতেই ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে গোটা রাজ্যের এক লক্ষাধিক শিক্ষিত যুবক যুবতী টেট পরীক্ষায় বসে।
তার থেকে উত্তীর্ণ হয় মাত্র ১১৯৪ জন। এদের মধ্যে অনেকে ১০৩২৩ এর অন্তর্ভুক্তি শিক্ষক-শিক্ষিকারা রয়েছেন। টেট উত্তীর্ণ হওয়া প্রত্যেককে রাজ্য সরকার শংসাপত্র দিলে লক্ষ্য করা যায় এই শংসাপত্রের মেয়াদ ২০২১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত রয়েছে।
কিন্তু বর্তমানে প্রায় ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও তাদের এখনো নিয়োগ করা হয়নি। এদের মধ্যে অনেকের বয়স উত্তীর্ণের পথে। তারা সকলেই অনিশ্চিয়তায় দিন কাটাচ্ছেন। তাই বুধবার ধর্মনগরে উত্তর জেলার এককালীন ছাড়ে টেট উত্তীর্ণ যুবক-যুবতীরা মিলিত ভাবে উত্তরের জেলা শাসকের নিকট তাদের নিয়োগের দাবি নিয়ে ডেপুটেশন দিলেন।
ডেপুটেশনে তারা যে দাবিগুলো তুলে ধরেন সেগুলো হচ্ছে অতি শীঘ্রই এককালীন ছাড়ে টেট উত্তীর্ণ বেকারদের শিক্ষক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে। টেট উত্তীর্ণ সকলের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হবে। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী উত্তীর্ণদের নভেম্বর মাসের মধ্যে নিয়োগের আশ্বাস দিয়েছিলেন তা যথাসময়ে পূরণ করতে হবে।
0 মন্তব্যসমূহ