৭ বছরের নাবালিকা কন্যাকে ধর্ষণের চেষ্টা সৎপিতার - Sabuj Tripura News

সবুজ ত্রিপুরা
১২ সেপ্টেম্বর ২০২০
শনিবার  

ধর্মনগর প্রতিনিধিঃ ৭ বছরের নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ করার দায়ে সৎবাবাকে  গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিল এলাকাবাসী। ঘটনা ধর্মনগরের রাধাপুর গ্রামে।অভিযুক্ত সৎ বাবা পেশায় রাজমিস্ত্রি, তার নাম পরিমল নমঃসুদ্র। ঘটনার বিবরণে নাবালিকার মা জানায় বিগত চার বছর আগে পরিমলের সাথে বিয়ে হয়েছিল মহিলার অর্থাৎ নাবালিকার মায়ের। মহিলার বাড়ি আপার আসামের বড়পাথার এলাকায়। মহিলার প্রথম সংসারে ৪ সন্তান রয়েছে। কিন্তু প্রথম সংসারের স্বামী তাকে মারধর করতো বলে সে ঐ স্বামীকে ত্যাগ করে দুই  কন্যাকে সঙ্গে নিয়েই পরিমল নমঃসূদ্রের হাত ধরে ধর্মনগরে আসেন। 


এই দিকে পরিমল নমঃসূদ্রের বাড়ি আসাম নিবিয়ার সোনাপুর এলাকায়। তারো প্রথম সংসারে তিন সন্তান রয়েছে। যদিও মহিলা জানিয়েছেন পরিমল তার বিবাহিত জীবনের কথা গোপন করেই তাকে বিয়ে করেছে। বিয়ের পরে বিগত চার বছর যাবত পরিমলের সাথে সংসার করছিল মহিলা। চার বছরের মধ্যে প্রথম দু-এক বছর সংসার সুখের কাটলেও তার পর থেকেই শুরু হয় অশান্তি। পরিমল প্রায়শই নেশা করে ঘরে এসে অশান্তি করতো। 


এমনকি মহিলাকে মারধরের সাথে সাথে একটা সময় মহিলার বড় মেয়ে অর্থাৎ তার সৎ মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। মহিলা বিষয়টি আঁচ করতে পেরে বড় মেয়েকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেন। এরি মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিদিনের মত পরিমল নেশা করে বাড়িতে আসলে স্ত্রীর সাথে কিছু একটা বিষয়কে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডা ঘটে। রাগে উত্তেজিত  স্বামী পরিমল মহিলাকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। আর ঐ সুযোগকে কাজে লাগিয়েই পাসন্ড পিতা ৭ বছরের নাবালিকা কন্যাকে ধর্ষণ করতে উদ্যত হয়। কিন্তু মহিলা বিষয়টি কোন ভাবে দেখতে পেয়েই চিৎকার শুরু করে। 


তার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে এসে সৎ পিতা পরিমল কে উত্তম-মধ্যম দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। বৃহস্পতিবার রাতেই ধর্মনগর মহিলা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মহিলা থানা নাবালিকা শিল্লতাহানির দায়ে ভারতীয় দণ্ড বিধির ৩৫৪ আইপিএস / ৮অফ পচস ধারায় একটি মামলা গ্রহণ করে তদন্ত শুরু করেছে। শুক্রবার সকালে আসামী পরিমল নমঃসূদ্রকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠান।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu