সবুজ ত্রিপুরা
০৪ অগাস্ট ২০২০
মঙ্গলবার
ধর্মনগর প্রতিনিধিঃ রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় রাজ্য সরকার লকডাউনের মাধ্যমে অতি আবশ্যকীয় সামগ্রীর দোকান ছাড়া অন্যান্য দোকান বন্ধ রাখার আদেশ দিলেও ধর্মনগর পূর্ব বাজারে দেশি বিদেশি মদের দোকান বন্ধ রাখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ ধর্মনগর পুলিশ প্রশাসন। ধর্মনগর পূর্ব বাজার বাম আমল থেকেই দেশী-বিদেশী মদের ব্যবসার জন্য সকলের কাছেই বেশ পরিচিত।
বাম আমল শেষে রাম আমল আসতেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব যখন নেশা মুক্ত ত্রিপুরার ডাক দিলেন। তখন ধর্মনগরবাসীর ধারণা ছিল ধর্মনগরের পূর্ব বাজারের নেশার কারবার বন্ধ করতে পুলিশ সচেষ্ট হবে। কিন্তু সরকারের সদ ইচ্ছা থাকলেও ধর্মনগরের পুলিশ-প্রশাসন পূর্ব বাজারের দেশি বিদেশি মদের ব্যবসা বন্ধ করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ। যদিও পুলিশ দুদিন পর পর লোক দেখানো বাজারের মদের ডেরা গুলোতে মদ বিরোধী অভিযান চালায়।কিন্তু তাতে নেশা কারবারিদের টিকির নাগাল পাওয়া যায় না। ফলের নেশা কারবারিরা আবার স্বমহিমায় তাদের ব্যবসা চালিয়ে যান। কিন্তু অবাক করা বিষয় রাজ্যে করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার যখন লকডাউন ঘোষণা করেছেন।তখনো ধর্মনগর পূর্ব বাজারের এই দেশী-বিদেশী মদের দোকানগুলোতে চলছে রমরমা কারবার।
অবশেষে সোমবার লকডাউনে পূর্ব বাজারের এই দৃশ্য জনগন প্রত্যক্ষ করে ধর্মনগর মহাকুমা পুলিশ আধিকারিককে অভিযোগ করলে। ধর্মনগর মহকুমা পুলিশ অধিকারীকের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ধর্মনগর পূর্ব বাজারের দেশী-বিদেশী মদের ডেরায় হানা দেয় । বেশ কিছু দোকান থেকে দেশি মদ উদ্ধার করা হয়। তবে পুলিশ কোন মদ কারবারিকেই জালে তুলতে পারেননি।কেননা পুলিশ আসার আভাস পেয়েই কারবারিরা দোকান লাগিয়ে গা ঢাকা দেন। পরবর্তীতে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রাজিব সুত্রধর মহকুমা শাসকের সাথে পরামর্শ ক্রমে এক ডিসির উপস্থিতিতে ধর্মনগর পূর্ব বাজারের প্রায় ১০ টি অবৈধ মদের দোকান সরকারি ভাবে সিল করে দেন।সোমবারের এই পুলিশি অভিযানে মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের সাথে উপস্থিত ছিলেন ধর্মনগরের ওসি সহ একাধিক পুলিশ অফিসার ।
এদিকে সোমবার ছিল লকডাউনের শেষ দিন। কিন্তু গোটা ধর্মনগরে লকডাউনের কোন বালাই ছিল না। মানুষ রাজ্য সরকারের আদেশকে অমান্য করে চলাচল করছিলো অবাধে। সর্বত্র ই-রিক্সা সহ বিভিন্ন যানবাহন চলতে থাকলেও পুলিশের কোন টহলদারি ছিল না।
0 মন্তব্যসমূহ