এগার মাসের সন্তানকে রেখে মায়ের আত্মহত্যা, অভিযোগ জামাতা ও তার পরিবারের উপর - Sabuj Tripura News

সবুজ ত্রিপুরা
১৭ জুলাই ২০২০
শুক্রবার       

পানিসাগর প্রতিনিধিঃ আজ সকাল আনুমানিক ছয়টা নাগাদ পানিসাগর নগর পঞ্চায়েত এলাকায় এগারো নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মানিক সিংহের বাড়িতে খবর আাসে যে, ওর বিবাহিত মেয়েনাকি শ্বশুর বাড়িতে নিজ ঘরেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এই দুঃসংবাদ পেয়ে মৃতার বাবা আত্মীয় পরিজনদের নিয়ে পানিসাগর থানাদিন বিলথৈ চাঁদপুর গ্রামের পাঁচ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জামাতা কার্তিক দাস(৩০) পিতা-সুশেন্দ্র দসের বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে প্রত্যক্ষ করেন যে নিজ ঘড়েই ওর আদরের একমাএ কন্যাটি গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলে রয়েছে। 


এই দৃশ্য দেখে মৃতার বাবা সহ আত্মীয় পরিজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পরেন এবং সরাসরি অভিযোগ করেন যে এদের মেয়ে এগার মাসের একটি ফুটফুটে নিষ্পাপ কন্যা সন্তান রেখে কিছুতেই আত্মহত্যা করতে পারেনা। তাদের অভিযোগ মেয়েকে গলাটিপে মেরে পরিকল্পিত ভাবে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পানিসাগর থানার পুলিশ এবং এলাকার মেম্বার, প্রধান সহ এলাকাবাসীদের সামনেই মৃতদেহ নামিয়ে পানিসাগর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। মৃতার বাবার সাথে কথা বলে জানা যায় বিগত প্রায় পাঁচ বছর পূর্বে সামাজিক রীতি নিতি মেনে বিবাহ হয়েছিল কার্তিক ও গৌরির। 

এর পর থেকেই নানা ঝগরা বিবাদ লেগেই থাকতো এদের পরিবারে। তানিয়ে  বিগত প্রায় দুই বৎসর পূর্বে একবার উভয় পঞ্চায়েতের এক শালিসি সভার মাধ্যমে বিষয়টি মিট মাট হলেও কোন সুফল মিলেনি। শেষমেশ জীবনের বিনিময়ে চির দিনের মতো সমস্যার সমাধান করে দিয়ে চলে গেল হতভাগি। পরবর্তীতে সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের সাক্ষাতে মৃতার স্বামী কার্তিক জানায় যে বিগত দিনের ন্যায় গতকালও কাজ শেষে সে বাড়ি ফিরে আসে বিকেল চারটা নাগাদ। এরপর স্নান সেরে খাবার খেয়ে পাশের দোকান থেকে কিছু আনতে গিয়ে দেখে ওর মানিব্যাগটি নেই, তাই সে প্রায় পাঁচটা নাগাদ মানিব্যাগ খোঁজতে বেরিয়ে পরে এবং বাড়ি ফিরে রাত্রি প্রায় বারোটা নাগাদ। বাড়ি ফিরে ওর স্ত্রীকে অনেক ডাকাডাকি করে এবং দরজা  না খোলায় পাশের ছোট ভাইয়ের ঘড়ে গিয়ে তাদেরকে বিষয়টি জানায়।পরে সকলে মিলে পুনরায় ডাকাডাকি করে ব্যার্থ হয়ে বাহিরে বসে রাত্রি যাপন করে। 

ভোর প্রায় চারটা নাগাদ এলাকার মেম্বারকে বিষয়টি জানায় এবং  তরি ঘরি এলাকাবাসিরা ছুটে আসে এবং ঘরের বিতরে শিশুটির কান্নার শব্দ পেয়ে বাধ্য হয়ে ঘড়ের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে দেখতে পায় শিশুটিকে বিছানায় বেঁধে রেখে গলায় শাড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে মেয়েটি। এই নিয়ে মৃতার বাবা অভিযোগ করেন যে, মানিব্যাগ খোঁজতে কেন এত রাত্রি হতো। এমনকি রাত্রিতে ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় কি কারনে সারা রাত্রি এলাকাবাসীদের না জানিয়ে ভোর বেলা জানানো হয়। তাই তিনি সরাসরি অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার স্বামী কার্তিক এবং ওর পরিবারের অন্যাদের উপর। এই মর্মে মৃতার বাবা মানিক সিংহ পানিসাগর থানার জামাতা কার্তিক, দেওর সুখময় এবং শ্বশুর সুশেন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu