সবুজ ত্রিপুরা
১৭ জুন, ২০২০
বুধবার
বিশেষ প্রতিনিধিঃ "বটতলা" এই নামের সাথে জড়িয়ে আছে ত্রিপুরার রাজন্য আমলের বিভিন্ন স্মৃতি, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের মনে এই বটতলা একটি পরিচিত স্থান। আরা এই বটতলাতেই আছে বটতলা মার্কেট যা আজ সংবাদের শিরোনামে উঠে আসছে। এক সময় এই মার্কেট বাংলাদেশী মার্কেট বলে পরিচিত ছিল, কারন এই মার্কেটে অবৈধ ভাবে আসা বিদেশী সামগ্রী পাওয়া যেত এবং এর থেকেই আস্তে আস্তে এই মার্কেট অবৈধ কাজের কেন্দ্র বিন্দু হয়ে উঠে এবং আগরতলার সকল অবৈধ কাজ এখান থেকে নিয়ন্ত্রণ হতো।
প্রথমে বাম আমল, তারপর পাঁচবছর জোট সরকার, তার পর আবার আসে বামফ্রন্ট সরকার এবং ২০১৮ সালে বামফ্রন্ট সরকারকে হারিয়ে বিপুল জন সমর্থন নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি প্রথমবারের মতো ত্রিপুরার ক্ষমতায় আসে। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব প্রথমদিন থেকেই নেশা বিরোধী অভিযানে নামেন এবং তিনি নেশা মুক্ত ত্রিপুরার ডাক দেন। তিনি নেশামুক্ত ত্রিপুরা গড়তে কিছু সাফল্যও পান এবং ত্রিপুরার বেশ কিছু নেশা কারবারিরা আজ জেলে অবস্থান করছে।
কিন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই নেশা ও অবৈধ কারবারিরা তাঁদের কারবার আবার শুরু করে দিয়েছে এবং তা শুরু হয়ছে এই বটতলা মার্কেটকে কেন্দ্র করেই । এই বটতলা মার্কেটের পাসেই আছে ত্রিপুরা পুলিশের একটি আউট পোস্ট, যার নাকের ডগায় চলছে এইসব অবৈধ কাজকর্ম । প্রকাশ্যে চলছে মদ ও জুয়ার কারবার এবং সন্ধ্যা হলেই তার মাত্রা বেড়ে যায়।
এই বটতলা মার্কেটেই রয়েছে একটি সবজি বাজার, কিন্তু সন্ধ্যা হলেই সাধারণ মানুষের পরিবার নিয়ে প্রবেশ করা দুস্কর হয়ে উঠে। এই মার্কেটের প্রবেশ পথে রয়েছে দুইটি দোকান যেখান থেকে প্রকাশ্যে চলে অবৈধ মদ বিক্রি ও সেবন। এলাকাবাসীর অভিযোগ সন্ধ্যা হলে সাধারণ মানুষের বাজারে যাওয়া দুস্কর হয়ে উঠে। এলাকাবাসী অভিযোগ তুলে জানান বটতলা পুলিশ আউট পোস্ট কোন এক অজ্ঞাত কারণে সব কিছু জেনেও এড়িয়ে চলে বা মাঝে মাঝে চলে লোক দেখানো অভিযান। আবার কিছু সংখ্যক জনগনের মতে মাসিক পাঁচ লক্ষ্য টাকার বিনিময়ে সব কিছু দফারফা হয়ে থাকে। এর জন্য এই অবৈধ কাজের বিরুদ্ধে দেখা যাচ্ছে না কোন আইনি পদক্ষেপ। আর এই সব অবৈধ কারবার চলছে কিছু স্থানীয় নেতা দের দৃষ্টি গুচরে।
স্থানীয় জনগনের অভিমত এই ভাবে চলতে থাকলে যে কোন সময় দেখা দিতে পারে গণরোষ। শুধুমাত্র কিছু স্বার্থনেশি নেতার জন্য অটল বিহারি বাজপেয়ী - আদবানির মতো নেতার স্বপ্নের দলকে প্রশ্নের সামনে দাঁড় করাবে। স্থানীও জনগনের অভিমত, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী যেন এখনি তদন্ত ক্রমে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
0 মন্তব্যসমূহ