সবুজ ত্রিপুরা
১৯ মে ২০২০
চুরাইবাড়ি প্রতিনিধি: লকডাউনকে উপেক্ষা করে ত্রিপুরা অসম সীমান্ত টপকে পার্শ্ববর্তী রাজ্য অসমের করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দিতে বিভিন্ন লোকের আনাগোনা অব্যাহত থাকায় উভয় সীমান্তে জনমনে একরাশ করোনা ভাইরাস সংক্রমনের আশঙ্কা সহ চাঞ্চল্য বিরাজ করছে। দুই রাজ্যের সীমান্ত এলাকা সিল করা সত্বেও এই রুট দিয়ে মানুষের অবাদে আনাগোনার ফলে প্রশাসনের ভুমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে এলাকার সচেতন মহলে।
প্রাপ্ত খবর অনুসারে গত এগারো দিনে অবৈধ ভাবে রাজ্য পেরিয়ে অবৈধভাবে অসমে প্রবেশের পথে পাথারকান্দির সোনাখিরা পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে প্রায় ১৫ জন লোক। তাদেরকে পৃথক পৃথক ভাবে সোনাখিরা পুলিশ চেকপোষ্টের ইনচার্জ সুখেস দাস আটক করে সার্কেল প্রশাসনের তত্বাবধানে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগিতায় কোয়ারেন্টিনে পাঠিয়ে দেন।
আজ সকালে ধর্মনগরের কৃষ্ণপুর থেকে পায়ে হেঁটে অসমের গোলাঘাটের দুই শ্রমিক সোনাখিরায় পৌছালে তাদেরকে আটক করে স্থানীয় পুলিশ। তাদের হাতে কোনও টাকা না থাকায় ইনচার্জ তাদেরকে নিজ পকেটের টাকা দিয়ে ভাত খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেন। ওদের নাম অতুল কুর্মি ও মিটু কোঁওর। তাদের পরে পাথারকান্ধি স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জানা যায় তারা জনৈক হানিফ উদ্দিন নামের এক ঠিকাদারের তত্বাবধানে সিমেন্টের কাজ করছিল।
অনুরূপ ভাবে গতকাল সোমবার বিকেলে ত্রিপুরার জিরানিয়া থেকে কাঁঠলতলী হয়ে আসার পথে সোনাখিরা পুলিশ চেকপোষ্টে এসে আটকা পড়েন আরও চার ব্যাক্তি সহ দুই চালক। উনারা পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে নদীপথে অসমে প্রবেশের পর একটি অল্টো ও একটি অটো রিকসা ভাড়া করে অসমে প্রবেশের ফন্দি করে সোনাখিরাতে এসে ধরা পড়েন। পরে জানা যায় এদের প্রত্যেকের বাড়ি অসমের নিলামবাজারে। পরবর্তীতে তাদের প্রশাসনিক ভাবে কোয়ারেন্টিনে প্রেরণ করা হয়।
উল্লেখ্য যে এর আগে গত নয় মে নিজ বাড়ির টানে আগরতলা থেকে রেল সড়ক ধরে পায়ে হেঁটে অসমে প্রবেশ করে পাথারকান্দির সোনাখিরা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে চার ব্যক্তি। অনুরূপ ভাবে গত সতেরো মে রাতের অন্ধকারের সুযোগকে হাতিয়ার করে ত্রিপুরার ধলাই জেলার হটস্পট জোন থেকে লরিতে করে অসমে প্রবেশ পথে আটকা পড়ে কলকাতার মালদার এক যুবক। এরপর একই ভাবে গতকাল সোমবার দুপুরবেলা ত্রিপুরা থেকে অসমে অবৈধ ভাবে প্রবেশের পর পুলিশের হাতে ধরা পড়েন পাঞ্জাবের দুই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।
এদিকে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রশাসনিক তরফ থেকে ১৮ কিমি ত্রিপুরা অসম সীমান্ত এলাকা সিল করে দেবার পরেও কিভাবে কিছু মানুষ সীমান্ত অতিক্রম করতে সক্ষম হচ্ছে, তা নিয়ে আতঙ্কিত সচেতন মহল। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এলাকার সচেতন মহল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ছবিঃ কিশোর রঞ্জন হোড়
এদিকে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রশাসনিক তরফ থেকে ১৮ কিমি ত্রিপুরা অসম সীমান্ত এলাকা সিল করে দেবার পরেও কিভাবে কিছু মানুষ সীমান্ত অতিক্রম করতে সক্ষম হচ্ছে, তা নিয়ে আতঙ্কিত সচেতন মহল। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এলাকার সচেতন মহল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
আরও পড়ুন: প্রশাসনিক নির্দেশ অমান্য করে ধর্মনগর বাজারে বসেছে সবজির ব্যবসা, বিক্ষুব্ধ অস্থায়ী ব্যবসায়ীরা
ছবিঃ কিশোর রঞ্জন হোড়
0 মন্তব্যসমূহ