দীর্ঘ নয় মাস পর পলাতক গাঁজা পাচারকারী এম্বুলেন্স চালককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ


সবুজ ত্রিপুরা, চুড়াইবাড়ি প্রতিনিধি, মে : অবশেষে দীর্ঘ ৯ মাস পর এম্বুলেন্স দিয়ে গাঁজা পাচারে আটক এম্বুলেন্সের, চালককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। কদমতলা থানার পুলিশ গতকাল গোপন সূত্রের ভিত্তিতে ধর্মনগর শাখাই বাড়ি এলাকা থেকে এম্বুলেন্স চালক ছইফ উদ্দিন ওরফে লালাইকে (২৫) আটক করতে সক্ষম হয়েছে। 
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ গত ২০১৯ সালের ৩১ আগস্ট উত্তর জেলায় ত্রিপুরা আসাম সীমান্তবর্তী এলাকায় ১৬৬ নং বিএসএফ ব্যাটালিয়নের জোয়ান ও কদমতলা থানা যৌথ অভিযান চালায়। অভিযানে TR 05/2991 নম্বরের জীবন রেখা নামক একটি অ্যাম্বুলেন্সকে ধাওয়া করে কুর্তি এলাকায় গিয়ে আটক করে তল্লাশি চালিয়ে ৫৫ প্যাকেটে ১৯৭ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে বিএসএফ ও পুলিশ। কিন্তু সেই সময় অ্যাম্বুলেন্সটি রেখে চালক মুহূর্তের মধ্যে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল। 

কদমতলা থানার পুলিশ অ্যাম্বুলেন্সসহ বিপুল পরিমাণ গাজা গুলি তাদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করে। পাশাপাশি কদমতলা থানার পুলিশ KDL/PS/52/2019, US:--8/20(6)(ii)(C)/29 OF NDPS ACT 1985 ধারায় মামলাও রুজু করে। এই মামলার তদন্তকারী অফিসার হলেন কদমতলা থানার এসআই অপু দাস। অবশেষে দীর্ঘ ৯ মাস পর গোপন সূত্রের ভিত্তিতে কদমতলা থানার পুলিশ ও তদন্তকারী অফিসার অপু দাস বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে গাজা পাচারকারী এম্বুলেন্সের চালককে ধর্মনগর শাকাইবাড়ি এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছইফ উদ্দিন ওরফে লালাই (২৫) পিতা আবদুল মজিদকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে এই বিপুল পরিমাণ গাজা গুলি ত্রিপুরার আগরতলায় এলাকা থেকে নিয়ে বহিঃরাজ্যের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল। পুলিশি জেরায় এম্বুলেন্স চালক ছইফ উদ্দিন আরো জানায়, সে গাঁজা গুলি এম্বুলেন্স দিয়ে বিকল্প সড়ক হয়ে বহিঃ রাজ্যে পাড়ি দিতে চেয়েছিল। কিন্তু বিএসএফ ও পুলিশের ধাওয়া খেয়ে ঘাবড়ে গিয়ে কুর্তি এলাকায় যাবার পর রাস্তা না পেয়ে এম্বুলেন্স রেখে পালিয়ে যায়।

অপরদিকে তদন্তকারী অফিসার অপু দাস জানান ধৃত গাজা পাচারকারী এম্বুলেন্স চালক ছইফ উদ্দিনকে ধর্মনগর জেলা আদালতে প্রেরণ করা হবে এবং তাকে পুলিশ রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে তার সাথে অন্য কোনো চক্র জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।




ছবিঃ কিশোর রঞ্জন হোড়

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu