সবুজ ত্রিপুরা, চুরাইবাড়ি প্রতিনিধি, ১৮ এপ্রিল : চলতি লকডাউনের মধ্যেই পার্শ্ববর্তী রাজ্য আসামের করিমগঞ্জ জেলার বাজারিছড়া থানাধীন শিবেরগোলে ঘটে গেল এক পাশবিক জঘন্যতম নাবালিকা ধর্ষণের ঘটনা। যার ফলস্বরূপ, এলাকা জুড়ে বিরাজ করছে টানটান উত্তেজনা। ঘটনার পর পুলিশ তদন্তে নেমে এ কান্ডে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আটক করে। পাশাপাশি ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে মেডিকেল চেকআপের জন্য করিমগঞ্জ সিভিল হসপিট্যালে প্রেরণ করেছে।
জানা গেছে শুক্রবার বিকাল আনুমানিক সাড়ে তিনটা নাগাদ স্থানীয় পঞ্চম শ্রেণীর পড়ুয়া এক নাবালিকা কন্যা শিবেরগোল মহাবীর পাব্লিক হাইস্কুলের সম্মুখের এক মুদির দোকান থেকে কিছু একটা কিনতে গেলে ঘটে এই বিপত্তি। সে সময়ে নির্জনতার সুযোগ নিয়ে দোকান মালিক মুন্না কানু(৫০) নাবালিকাটিকে বলপূর্বক ভাবে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এ ঘটনার পর রক্তাল্পুত শিশুটি বাড়িতে গিয়ে সবকিছু নিজের মাকে খুলে বললে বিষয়টি তাৎক্ষনিক ভাবে সর্বত্র জানাজানি হয়ে যায়। এতে গোটা এলাকা জুড়ে প্রতিবাদের আগুন ঝলসে পড়ে। পরে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় উত্তেজিত জনতা অভিযুক্ত মুন্নার বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেন।
খবর পেয়ে সদলবলে ছুটে আসেন বাজারিছড়া থানার ওসি নির্মলকান্তি দে এবং অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেন। এদিকে বিষয়টি নিয়ে নিখিল বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি মহাসভার অন্যতম সদস্য তরুণ সিনহা জানান, এমন পাশবিক ঘটনায় জড়িত ব্যাক্তিকে কিছুতেই ছাড় দেওয়া যায় না। অভিযুক্ত ব্যক্তির কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন তিনি, অন্যথায় তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে যাবেন বলে জানান।
এদিকে জানা গেছে যে, ধর্ষিতা নাবালিকাকে উদ্ধার করে করিমগঞ্জ সিভিল হসপিট্যালে ভর্তি করা হয়েছে। আজ অভিযুক্তকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। মেডিকেল রিপোর্ট হাতে আসার পরই পুলিশ পরবর্তি পদক্ষেপ গ্রহন করবে। আরও জানা গেছে, মুন্না কানু বিবাহিত এবং নিজের এক কন্যা সন্তানকে বিয়েও দিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবে মুন্নার এমন কান্ডকে এলাকার জনগন ধিক্কার জানিয়েছেন। এদিকে এ ঘটনায় যাতে দুটি সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্তেজনা না ছড়ায় সেজন্য অকুস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ