সবুজ ত্রিপুরা, নিজস্ব প্রতিনিধি, ৬ এপ্রিল : লকডাউনে পুলিশের অমানবিকতার শিকার দুই সদ্যজাত শিশু ও তাদের মাতৃদ্বয়। ঘটনা আসাম-ত্রিপুরার সীমানার চুড়াইবাড়ি গেইটে।
সোমবার সকালে আসামের মাকুন্দা হাসপাতাল থেকে দুটি পরিবার তাদের সদ্যজাত শিশুদের নিয়ে বাড়িতে আসার উদ্দেশ্যে গাড়ি নিয়ে চুড়াই বাড়ি গেইটে আসলে তদের আটকে দেওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে তাদের নিয়ে আসা গাড়িটি শিশু সহ পুরো পরিবারকেই রাস্তায় নামিয়ে দিয়েই চলে যায়। এমনকি তখন ত্রিপুরা গেইটে ডিউটিরত পুলিশবাবুদের কাছে রাস্তার ধারে একটি দোকানের বারান্দায় গিয়ে বসার অনুমতি চাইলেও সেই সদ্যজাত শিশু ও মায়েদের বসার অনুমতি দেননি খাকিপোশাকে থাকা ঐ ডিউটিরত পুলিশ বাবু। বাধ্যহয়ে সদ্যজাতদের নিয়ে প্রখর রোদের মধ্যে রাস্তায় বসে থাকতে হয় মায়েদের।এমন করেই দুটি পরিবার প্রায় দু থেকে আড়াই ঘন্টা রাস্তায় বসে থাকেন। সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে এই চিত্র সাংবাদিকদের নজরে এলে সাংবাদিকদের তৎপরতায় সদ্যজাত শিশু সহ পরিবারদের চুড়াইবাড়ি থানায় নিয়ে আসা হয়।
সংবাদিকদের উদ্যোগেই সকাল থেকে অভুক্ত দুটি পরিবারের হাতে কিছু জলখাবার তুলে দেওয়া হয়। ঐ পরিবারদের তরফ থেকে জানানো হয় লকডাউনের আগেই তারা মাকুন্দা হাসপাতালে গিয়ে ছিল। বিগত ২০ ও ২১ তারিখ বাচ্চা দুটির জন্ম হয়। এরি মধ্যে লকডাউনে সব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে মাকুন্দায় থেকে পয়সা খরছ করে থাকা তাদের পক্ষে দুর্বিসহ হয়ে পরেছিল। পাশাপাশি পকেটের টাকাও খালি হয়েগেছে। তাই তারা বাধ্য হয়ে বাড়িতে ফির ছিলেন। একটি পরিবারের বাড়ি ধর্মনগর মহকুমার তারকপুর এলাকায় ও অপরটি লালছড়া এলাকায়। কিন্তু এবার প্রশ্ন হচ্ছে এমন আপাতকালিন পরিস্থিতিতে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মী কেন উচ্চপর্যায়ে কথা বলে যথাযথ ব্যবস্থা নিলেন না ?
উল্টো সদ্যজাত শিশু ও তার মাকে নিরাপদ স্থানে না রেখে অমানবিক ভাবে ধমকে রাস্তার মধ্যে বসিয়ে রাখলেন। প্রখর রোদে থেকে শিশু ও মায়েদের যে কোন সমস্যা হতেই পারতো। অথচ প্রায় দু ঘন্টা পেড়িয়ে গেলেও কর্তব্যরত পুলিশ কোন উদ্যোগ নিলেন না। করোনা থেকে রক্ষা পেতে আমরা যদি এমন অমানবিক হয়ে যেকোন সুন্দর জীবনকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেই তবে তার দায় কে নেবে?
ছবি সৌজন্যে : স্বরূপ ঘোষ।
আরও পড়ুন : পথচারীদের জন্য জলখাবারের ব্যবস্থা করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের উত্তর ত্রিপুরার স্বয়ংসেবকরা
উল্টো সদ্যজাত শিশু ও তার মাকে নিরাপদ স্থানে না রেখে অমানবিক ভাবে ধমকে রাস্তার মধ্যে বসিয়ে রাখলেন। প্রখর রোদে থেকে শিশু ও মায়েদের যে কোন সমস্যা হতেই পারতো। অথচ প্রায় দু ঘন্টা পেড়িয়ে গেলেও কর্তব্যরত পুলিশ কোন উদ্যোগ নিলেন না। করোনা থেকে রক্ষা পেতে আমরা যদি এমন অমানবিক হয়ে যেকোন সুন্দর জীবনকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেই তবে তার দায় কে নেবে?
ছবি সৌজন্যে : স্বরূপ ঘোষ।
0 মন্তব্যসমূহ