সবুজ ত্রিপুরা, আগরতলা প্রতিনিধি, সুদীপ নাথ, ৯ এপ্রিলঃ লকডাউনের মধ্যে আজ রাতে এক ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। এতে তিনি রাজ্যবাসীর সহযোগিতামূলক মনোবৃত্তির প্রশংসা করেন। বলেন প্রতিটি মানুষ যেভাবে একে অপরের সাহায্য করতে চাইছে তা ধন্যবাদ যোগ্য।
একইসঙ্গে তিনি রাজ্য পুলিশের প্রশংসা করেন। পুলিশের পক্ষ থেকে আজ মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ১ কোটি ১৬ লক্ষ ৯০ হাজার ৩৪৩ টাকা তুলে দেয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন এর পেছনে ২০ হাজার পুলিশ পরিবারের অবদান রয়েছে। তারা একদিকে যেমন দেশের সেবায় প্রতিনিয়ত ব্যস্ত রয়েছেন, অন্যদিকে আর্থিক সাহায্যও করছেন। এরকম ভাবে যারা বিভিন্ন জরুরী পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত থেকে দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী।
পাশাপাশি তিনি এও আহ্বান রাখেন, কেউ যদি, মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে সাহায্য করতে চায় তবে তা যেন চেকের মাধ্যমে করে। এক্ষেত্রে মানুষের কাছ থেকে নগদ অর্থ সংগ্রহ না করার জন্য বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন বর্তমান সরকার রাজ্যের সকল অংশের মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে চলেছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন পুর এলাকায় যারা ঠ্যালা ও রিক্সা শ্রমিক রয়েছেন এরকম ৮৬৬৬ জনকে, এককালীন এক হাজার টাকা করে সাহায্য করছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে এই সাহায্য প্রদান করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী গুরুত্ব সহকারে বলেন যে, মানুষের কাছ থেকে যেন নগদ অর্থ সাহায্য নেওয়া না হয়। পরিবর্তে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী সংগ্রহ করা যেতে পারে।
তিনি বলেন, রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে যেসব মানুষের কাছে সাহায্য দেয়া হচ্ছে তা ঠিকঠাকমতো যাচ্ছে কিনা সেই দিকে নজর রাখা যেতে পারে। যদি কোথাও অভিযোগ থাকে তবে সংশ্লিষ্টদেরকে তা জানানোর জন্য আহ্বান রাখেন মুখ্যমন্ত্রী।
শ্রী দেব বলেন যে, রাজ্যের ভেতরে ও বাইরে যারা রয়েছেন, আগামী দিনেও তাদের সমস্যা হবে না। ইতিমধ্যেই বহিঃরাজ্যে আটকে যাওয়া রাজ্যবাসীর প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে সরকার। গণবণ্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে মানুষের কাছে সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রেও প্রায় ১০০% সফলতা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন প্রকাশিত ভিডিও বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে, বর্তমানে যে করোনা রোগী রয়েছে, তার শারীরিক অবস্থা উন্নয়নের দিকে। মুখ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে শীঘ্রই তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবেন। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে, তার নিকটাত্মীয়ের মধ্যে এর সংক্রমণ না পাওয়া একটি সৌভাগ্যের বিষয়। তিনি সমস্ত রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে আহ্বান রাখেন, তারা যেন লকডাউন, সামাজিক দুরত্ব ইত্যাদি মেনে চলে। পাশাপাশি বাড়িতে থেকে নানা সৃজনাত্মক কাজের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত রাখে।
0 মন্তব্যসমূহ