আনন্দবাজারের শরণার্থীদের জন্য নগদ ২ লক্ষ টাকা এবং ঘর প্রদানের ঘোষণা



সবুজ ত্রিপুরা, বিশেষ প্রতিবেদন, ১৮ ফেব্রুয়ারী :- গত ডিসেম্বর মাসে উত্তর জেলার কাঞ্চনপুরের দশদা-আনন্দবাজার এলাকা রিয়াং শরণার্থীদের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে অগ্নিগর্ভ অবস্থা ধারণ করে। এলাকার জনজাতি বসবাসীদের উপর আক্রমণ চালানো হয়। লুটপাট, সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়; ফলস্বরূপ, নিজের ভিটেমাটি ছেড়ে প্রাণ বাঁচাতে প্রচুর বাঙালি জাতির মানুষ আশ্রয় নেয় আনন্দবাজার পুলিশ থানায়। এরই মধ্যে রিয়াং শরণার্থীদের পুনর্বাসনকে কেন্দ্র করে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের সিদ্ধান্তে পরিস্থিতি আরও গম্ভীর হয়ে ওঠে।

        আনন্দবাজার পুলিশ থানায় আশ্রয় নেওয়া মানুষেরা সরকারের নিকট তাদের ক্ষয়ক্ষতি পূরণের দাবি রাখেন। দফায় দফায় আলোচনা সত্ত্বেও কোনও সুষ্ঠু সমাধান না হওয়ায় গত রবিবার ১৬ ফেব্রুয়ারী আনন্দবাজার থানায় শরণার্থী মানুষদের কাছে ছুটে যান রাজ্য বিধানসভার উপাধ্যক্ষ শ্রী বিশ্ববন্ধু সেন। সেখানে তিনি রাজ্য সরকারের দেওয়া প্যাকেজের বিষয়ে কথা বলেন, যাতে সকল শরণার্থীদের জন্য ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা এবং ঘর প্রদানের কথা উল্লেখ করেন। এছাড়া তিনি প্রত্যেককে তাদের নিজ নিজ ভিটেতে ফিরে যেতেও অনুরোধ করেন। কিন্তু শরণার্থী মানুষেরা তাঁর কথায় সন্তুষ্ট হতে পারেন নি। তাদের বক্তব্য, তাদের ক্ষয়তিপূরণ সংক্রান্ত ৫ দফা দাবীপূরণের সঠিক আশ্বাস যদি রাজ্য সরকার প্রদান করেন তবেই তারা ফিরে যাবেন, অন্যথায় আনন্দবাজার পুলিশ থানাতেই তারা থাকবেন।

আনন্দবাজার থানায় আশ্রিত শরণার্থীরা তাদের বক্তব্য তুলে ধরছেন বিধানসভা উপাধ্যক্ষের সময়। ছবি সৌজন্যে : গণমাধ্যম।
        এছাড়াও আনন্দবাজার এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা তাদের ক্ষতিপূরণ দাবি করলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, ব্যবসায়ীদের যদি জিএসটি থাকে তাহলে তারা তাদের ব্যবসায়ে হওয়া সমস্ত ক্ষয়ক্ষতি বাবদ অর্থ দেওয়া হবে। কিন্তু ব্যবসায়ী অনেকে তাদের জিএসটি না থাকায় এই সমস্যার সমাধান কিভাবে হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করেন। সব মিলিয়ে শরণার্থীরা এখনও সন্তুষ্ট ও আশ্বস্ত হতে পারছেন না।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu