সত্তোরোর্ধ বৃদ্ধার মৃতদেহ
পাওয়া গেল তাঁর নিজ বাড়ির পেছনের বাঁশবাগানে। মৃত্যুর কারণ অজানা। তদন্তে নেমেছে
পুলিশ।
সবুজ ত্রিপুরা, বিশেষ প্রতিনিধি,
০৯ আগস্ট : উত্তর ত্রিপুরা জেলার পানিসাগর মহকুমার অন্তর্গত দেওড়া গ্রাম
পঞ্চায়েতের ওয়ার্ড নাম্বার ৩ এলাকার বাসিন্দা বাসন্তী নাথ (৭০) গত ৭ই সেপ্টেম্বর, শনিবার নিজ বাড়ি থেকে হঠাৎ করে নিখোঁজ হয়ে যান। সারাদিন খোঁজাখুঁজি করার পর তাঁদের দুই পুত্র রাতে পানিসাগর থানায় মৌখিক
ভাবে মায়ের নিখোঁজ হওয়ার সংবাদটি জানায়। থানা বাবুরা তাদেরকে পরদিন এসে নিখোঁজ শ্রীমতী নাথের একটি লিখিত
মিসিং ডায়েরি করানোর পরামর্শ দেন এবং আশপাশে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করে দেখতে বলেন। সেই অনুপাতে নিখোঁজ বাসন্তী নাথের
ছেলে পিনাকি দেবনাথ এবং রাজকুমার নাথ গতকাল পানিসাগর থানায় একটি মিসিং ডায়েরি লিপিবদ্ধকরণ।
আজ ৯ সেপ্টেম্বর সোমবার বেলা আনুমানিক ২.৩০ ঘটিকা নাগাদ বাসন্তী দেবনাথ-এর কন্যা উনার মায়ের বাড়ির পেছনে অবস্থিত
বাঁশ বাগানে মায়ের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। সাথে সাথেই তিনি নিজের
ভাইদের এবং এলাকাবাসীদের খবর দেন। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় পানিসাগর
থানায়। খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন পানিসাগর থানার কর্মকর্তারা এবং অতিরিক্ত পুলিশ
অধীক্ষক।
প্রাথমিক তদন্তক্রমে জানা যায় যে, বাসন্তী নাথের স্বামী স্বর্গীয়
রসরাজ দেবনাথ দুই থেকে আড়াই মাস পূর্বে মৃত্যু বরণ করেন, তারপর
থেকেই উনার ছোট ছেলে রাজকুমার নাথের সাথেই বাসন্তী নাথ বসবাস করতেন। রাজকুমার নাথ জিআরআইএফ কোম্পানিতে কর্মরত, বাবার মৃত্যুর পর তিনি মাকে
নিয়ে নিজ বাড়িতে বসবাস করছিলেন।
পুলিশ মৃতদেহের আশেপাশে তদন্ত করতে গিয়ে পাশের সবজি খেতেই ব্যবহার করার কীটনাশক ঔষধের খালি বোতল এবং কিছু ট্যাবলেটের মোড়ক আবিষ্কার করে। এখন
পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ উদ্ঘাটন হয়নি। এ নিয়ে তদন্ত চলছে।
0 মন্তব্যসমূহ