সবুজ ত্রিপুরা, সংবাদমাধ্যম,
১৫ জুলাই : ২০১৯ সালে অপারেশন বিজয়ের ২০ তম বর্ষপূর্তি
উদযাপিত হচ্ছে। এই অভিযানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাহসী বীর সৈনিকরা বহু বাধা-বিপত্তি, প্রতিকূল পরিবেশ ও ভৌগলিক অবস্হান সত্ত্বেও অপেক্ষাকৃত সুবিধাজনক উচ্চতায়
অবস্হানকারী শত্রুদের পরাস্হ করে কার্গিল যুদ্ধ জয় করেছিলেন। ভারতীয় সেনাবাহিনী তাঁদের
শহীদ সহকর্মীদের স্মরণ করে এই চিরস্মরণীয় বিজয় উদযাপিত করছেন। এই উপলক্ষে নতুন দিল্লীর
জাতীয় যুদ্ধ স্মারক থেকে কার্গিলের দ্রাসে যুদ্ধ স্মারক পর্যন্ত একটি রিলে দৌড়ের আয়োজন
করা হয়। কার্গিল যুদ্ধে শহীদ সৈনিকদের স্মরণে ১৪ই জুলাই বিজয়শিখা প্রজ্জ্বলিত করেন
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী শ্রী রাজনাথ সিং। নতুন দিল্লীর জাতীয় যুদ্ধ স্মারকে সুবেদার সঞ্জয়
কুমার, শুটার সুবেদায় জীতু রাইয়ের হাতে রিলে দৌড়ের মশাল তুলে
দেন।
নতুন দিল্লীর জাতীয় যুদ্ধ স্মারকে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী শ্রী রাজনাথ সিং এবং সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ আধিকারিকগণ। |
এই অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল
বিপীন রাওয়াত, সেনাবাহিনীর
উত্তরাঞ্চলীয় প্রধান লেফ্টন্যান্ট জেনারেল রণবীর সিং, ফায়ার
অ্যান্ড ফিউরি করপ্ লেফ্টন্যান্ট জেনারেল ওয়াই কে জোশী সহ সামরিক বাহিনী এবং অন্যান্য
বিশিষ্টজনেরাও উপস্হিত ছিলেন। ভারতীয়
সেনাবাহিনীর চিরস্মরণীয় ক্রীড়াবিদ এবং যুদ্ধ বিজেতারা উত্তর ভারতের ৯টি বড় বড় শহরের
মধ্যে দিয়ে এই বিজয় শিখাটি নিয়ে যাচ্ছেন। ২৬শে জুলাই কার্গিল যুদ্ধ স্মারকে সেনাবাহিনীর
প্রধান এই বিজয় শিখা গ্রহণ করবেন। যাত্রাপথে জাতির জন্য যেসব বীর সেনানীরা যুদ্ধ করেছেন,
ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর চিরাচরিত ঐতিহ্য অনুযায়ী
মাতৃভূমির জন্য যাঁরা শহীদ হয়েছেন, তাঁদের আত্মবলিদানকে স্মরণ করে এই বিজয় শিখার নকশা তৈরি করা হয়েছে। আমাদের
বীর সেনানীদের আত্মপ্রত্যয়ের প্রতীক স্বরূপ এই মশালটি তামা, পিতল এবং কাঠ দিয়ে তৈরি। মশালের উপরিভাগে ধাতুতে অজানা বীর সৈনিকদের প্রতি
শ্রদ্ধা নিবেদন করে নকশা আঁকা হয়েছে। কার্গিল বিজয়ের গৌরবজ্জ্বল ২০তম বর্ষপূর্তি বোঝাতে
নীচের কাঠের অংশে অমর জওয়ান খোদাই করা ২০টি স্বর্ণমূদ্রা রয়েছে।
আমরা আমাদের শহীদদের আত্মবলিদানকে ‘স্মরণ’ করি, কার্গিল বিজয়কে আমরা ‘প্রফুল্ল’ চিত্তে উদযাপিত
করি এবং আমরা আমাদের ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকাকে রক্ষা করার জন্য আবারও আমাদের ‘অঙ্গিকার ব্যক্ত’করি। বিজয় শিখা
নিয়ে জাতীয় যুদ্ধ স্মারক থেকে কার্গিল যুদ্ধ স্মারক পর্যন্ত এই যাত্রা কার্গিল বিজয়
দিবসে ২০তম বর্ষপূর্তির অন্যতম অঙ্গ।
0 মন্তব্যসমূহ