২০১৯ এর মার্চ পর্যন্ত ‘পহল’ প্রকল্পের আওতায় ৫৯,৫৯৯ কোটি টাকা অর্থ সাশ্রয় হয়েছে


সবুজ ত্রিপুরা, সংবাদমাধ্যম, ০৫ জুলাই : পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের পহল প্রকল্পের আওতায়  ২০১৯-এর মার্চ পর্যন্ত সরকারের ৫৯,৫৯৯ কোটি টাকা অর্থ সাশ্রয় হয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থ এবং কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতি নির্মলা সীতারমন সংসদে আজ ফিসক্যাল রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড বাজেট ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট ২০০৩-এর আওতায় আর্থিক নীতির প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বলেন, ডিবিটি প্রকল্পের অধীনে ৪ কোটি ২৩ লক্ষ ভুয়ো, নিষ্ক্রীয় রান্নার গ্যাসের সংযোগ বাদ দেওয়া গেছে। পহল প্রকল্পের আওতায় সুবিধাভোগীরা বাজারদরে রান্নার গ্যাস কেনেন। এরপর তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ভর্তুকির টাকা সরাসরি ঢুকে যায়। সরাসরি উপভোক্তাদের কাছে সুবিধা হস্তান্তরের এই যুগান্তকারি উদ্যোগের ফলে দেশে বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্পে ভর্তুকির টাকা সঠিক সুবিধাভোগীদের কাছে পৌঁছাচ্ছে। বর্তমানে ১ কোটি ৮৬ লক্ষ উপভোক্তা ভর্তুকিহীন রান্নার গ্যাস পাচ্ছেন, যাদের মধ্যে ১ কোটি ৩ লক্ষ গ্রাহক তাঁদের ভর্তুকি ছেড়ে দিয়েছেন।
        গণবন্টন ব্যবস্হার মাধ্যমে কেরোসিন তেলের ক্ষেত্রে সরাসরি উপভোক্তাদের ভর্তুকির টাকা যাওয়ার প্রসঙ্গে আর্থিক নীতিতে বলা হয়েছে, ১২টি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল স্বেচ্ছায় ভর্তুকিযুক্ত কেরোসিন তেল পাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদের কোটা ছেড়ে দিয়েছে। ৮টি রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এই খাতে তাদের কেরোসিন তেলের পরিমাণ শূন্যতে নামিয়ে এনেছে। ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষের তুলনায় ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে সামগ্রীকভাবে ১২ শতাংশ পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে।

        পেট্রোপণ্যের ভর্তুকি বাবদ ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ৩৭,৪৭৮ কোটি টাকা বরাদ্দ ধরা হয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে এর সংশোধিত পরিমাণ ছিল ২৪,৮৩৩ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের নিরিখে রান্নার গ্যাসের জন্য ভর্তুকি বাবদ ৩২,৯৮৯ কোটি টাকা এবং কেরোসিন তেলের ভর্তুকি বাবদ ৪৪৮৯ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu