সবুজ ত্রিপুরা, সংবাদমাধ্যম,
১৭ জুন : গত শনিবার নতুন দিল্লীতে মাননীয়
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে নীতি আয়োগের পঞ্চম গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক আয়োজিত হয়। এই বৈঠকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয়
রাজ্যসমূহের মুখ্যমন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। এখানে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী
শ্রী বিপ্লব কুমার দেব তার বক্তব্য রাখেন।
নিজের বক্তব্যে তিনি বলেন যে, বলেন, ত্রিপুরার
অভ্যন্তরীণ নৌ
পরিবহন প্রকল্প আসার সাথে সাথে রাজ্যটি উত্তর-পূর্বের
গেটওয়েতে রূপান্তরিত হতে পারে। তিনি এই প্রকল্পটিকে গোমতী নদীর উপর প্রত্যাসন্ন ভারত-বাংলাদেশ প্রোটোকল রুটের ত্বরান্নয়ন করার পক্ষে দেখছেন। রাজ্যের বিমান পরিচালনা বিভাগের প্রতি
দৃষ্টি আকর্ষণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে
বিমান
পরিচালনার জন্য যে নির্দেশিকা রয়েছে, তা সংশোধন করা হলে রাজ্যটি উপকৃত হবে এবং ত্রিপুরা রাজ্যে
বেসরকারি অপারেটরদের দ্বারা ফ্লাইটের ফ্রিকোয়েন্সি বাড়ানোর জন্য সহজতর হবে।
শ্রী দেবের মতে,
দিল্লি থেকে আগরতলা পর্যন্ত সরাসরি সন্ধ্যায় ফ্লাইট পরিচালনা করার পাশাপাশি আগরতলা থেকে দিল্লী পর্যন্ত ডাক্তার ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মকর্তা, বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের মতো মানুষেরা তাদের মূল্যবান সময় বাঁচাতে পারবেন। মুখ্যমন্ত্রীর আরও বলেন যে, প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশ দ্বারা তিনটি দিক থেকে ঘেরা পার্বতী ত্রিপুরা রাজ্যের বেকারত্বের সমস্যাকে সমাধান করার জন্য পর্যটন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। সেজন্য
নতুন সরকার পর্যটনকে আরও উন্নয়নশীল করার উপর জোরালো গুরুত্বারোপ করেছে এবং এ প্রসঙ্গে রাজ্যের দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা এক বিশেষ ভূমিকা পালন করবে।
তিনি প্রস্তাব
করেন যে
পর্যটন মন্ত্রণালয় গোমতী জেলার উদয়পুরস্থিত ত্রিপুরাসুন্দরী মন্দির এবং গোমতী নদীর তীরে পাহাড়ের দেওয়ালের উপরে পাথর খোদাইয়ের প্যানেলগুলির জন্য বিখ্যাত ছবিমুড়ার মধ্যে সংযোগকারী একটি রোপওয়ে নির্মাণে সহায়তা করতে পারে। শ্রী দেব বলেন যে, ই-পিডিএস এবং সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট প্রসঙ্গে
সেরা পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে ত্রিপুরা রাজ্যও রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আরো যৌথ সামাজিক দায়িত্ব (সিএসআর) তহবিল পাওয়ার পক্ষে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন যে, ভারতের বেসরকারি বিভাগের কোম্পানিগুলিকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে তাদের সিএসআর তহবিলের ১০% ব্যয় করার অনুমতি পেতে পারে এবং যা দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি বৃহৎ উদ্যোগ “হীরা”র দ্রুত বাস্তবায়নের পথ তৈরি করবে, যা কেবল পর্যটন খাতেই নয় বরং রাজ্যের অন্যান্য খাতেও উন্নতিসাধন করবে।
মুখ্যমন্ত্রী উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আরো যৌথ সামাজিক দায়িত্ব (সিএসআর) তহবিল পাওয়ার পক্ষে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন যে, ভারতের বেসরকারি বিভাগের কোম্পানিগুলিকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলিতে তাদের সিএসআর তহবিলের ১০% ব্যয় করার অনুমতি পেতে পারে এবং যা দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি বৃহৎ উদ্যোগ “হীরা”র দ্রুত বাস্তবায়নের পথ তৈরি করবে, যা কেবল পর্যটন খাতেই নয় বরং রাজ্যের অন্যান্য খাতেও উন্নতিসাধন করবে।
0 মন্তব্যসমূহ