সবুজ ত্রিপুরা, সংবাদমাধ্যম,
১১ মে : গতকাল রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্য্যক্রমের মধ্য দিয়ে সাড়ম্বরে উদ্যাপিত হলো বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৮তম জন্মজয়ন্তী উৎসব।
ধর্মনগর: গতকাল উত্তর জেলার ধর্মনগরে কালীদিঘীর উত্তর পাড়ে প্রভাতী কবি
প্রণাম অনুষ্ঠান, রবীন্দ্র প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও পুস্পার্ঘ্য অর্পণ এবং
শোভাযাত্রার মাধ্যমে ১৫৮ তম রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উদযাপিত হয়। রবীন্দ্র মূর্তিতে
মাল্যদান করেন জেলা শিক্ষা আধিকারিক শ্রী বরুণ দাস মহোদয়। উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন
কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিগণও। রবীন্দ্র মূর্তির প্রাঙ্গণ থেকে এক
শোভাযাত্রা শহর পরিক্রমা করে বিবেকানন্দ সার্ধ শতবার্ষিকী ভবনের প্রাঙ্গণে এসে
সমবেত হয়। এখানে ধর্মনগরের বিভিন্ন সঙ্গীত বিদ্যালয়, সাংস্কৃতিক সংস্থা, শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান ও স্থানীয় ক্লাবের শিল্পীরা সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন। সন্ধ্যায়
বিবেকানন্দ সার্ধ শতবার্ষিকী ভবনেও একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে
রবীন্দ্র প্রতিকৃতিতে পুস্পার্ঘ্য অর্পণ দ্বারা শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন ত্রিপুরা মহিলা
কমিশনের চেয়ারপার্সন শ্রীমতী বর্ণালী গোস্বামী, এস আই ও শ্রী চন্দন সরকার,
সমাজসেবী মলিনা দেবনাথ প্রমুখ। এই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন রবীন্দ্রনাথ জন্মজয়ন্তী উদ্যাপন কমিটির সভাপতি শ্রী দীপাল দাস।এই সাংস্কৃতিক
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিল্পীরা সঙ্গীত, নৃত্য ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন।
পানিসাগর: তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর এবং পানিসাগর
নগর পঞ্চায়েতের সহযোগিতায় বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে পানিসাগরে মহকুমাভিত্তিক
রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী পালিত হয়। সকাল ৭টায় প্রভাতী অনুষ্ঠানে মহকুমার টাউন হলস্থিত
রবীন্দ্র মূর্তিতে পুস্পার্ঘ্য নিবেদন করে বিশ্বকবির প্রতি শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন সাংস্কৃতিক
সংস্থার প্রতিনিধিগণ সহ বিষিত ব্যক্তিবর্গ। এরপর এক বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা পানিসাগরের
বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে। বিকেলে পরিবেশিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যাখানে মহকুমার
৮টি সাংস্কৃতিক সংস্থার ১৩০ জন শিল্পী অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া নৃত্যালয়া নৃত্য
সেন্টারের শিল্পীরা পরিবশন করেন রবিঠাকুর রচিত ‘চণ্ডালিকা’ গীতিনাট্য।
কুমারঘাট:
নৃত্য-গীতি-কবিতার
ছন্দে কুমারঘাটেও উদযাপিত হল ১৫৮তম রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী। সকালবেলা প্রভাতী
অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এক প্রভাতফেরীর আয়োজন করা হয়, যা কুমারঘাট পুর এলাকার
বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে পাবিয়াছড়া দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের সামনের মুক্তাঙ্গনে
এসে সমাপ্ত হয় এবং বিদ্যালয়ের সামনে কবির পূর্ণাবয়ব মূর্তিতে পুস্পার্ঘ্য অর্পণ
করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়। সকাল ১০টায় রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উৎসবের অঙ্গরূপে তিনটি
বিভাগে শিশুদের অঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন
বিশিষ্ট শিল্পী বৈশালী দাম। এছাড়াও আন্তর্জাতিক ও জাতীয় স্তরে কিক্-বক্সিং
পুরস্কারপ্রাপ্ত কুমারঘাটের সুজিত শীলকেও সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পুরস্কৃত করা হয়
অঙ্কন প্রতিযোগীদেরও।
0 মন্তব্যসমূহ