আগরতলা-বেঙ্গালুরুগামী হামসফর এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনাগ্রস্থ


সবুজ ত্রিপুরা, চুড়াইবাড়ি প্রতিনিধি, ৩০ এপ্রিল : আগরতলা-বেঙ্গালুরুগামী বিলাসবহুল হামসফর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীরা দৈবক্রমে বেঁচে গেলেন যখন মঙ্গলবার সকালবেলা ৮:৩০ টার দিকে আসাম ত্রিপুরা সীমান্তের কাছে প্রবেশ করার সময় লাইনচ্যুত হয়। ঘটনাটি ঘটেছে করিমগঞ্জ জেলার বাজারিছড়া থানাধীন সরজুল গ্রামের পাশে। যদিও কোনও প্রকার জীবনহানির ঘটে নি
 ষোলোবগি সমন্বিত এক্সপ্রেস ট্রেন কে এম ২৬/৬-৫ এ চুড়াইবাড়ি এবং কলকলিঘাট এলাকার মধ্যে সরজুল সেতুর ওপর দুই চাকা দ্বারা লাইনচ্যুত হয়। একজন যাত্রী জানান যে, দুর্ঘটনার ঠিক আগমুহুর্তে ট্রেনটি খুব ধীরে ধীরে
চলছিল তাই কোনও বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি, তবে গতি আরও বেশি হলে এটি বিপজ্জনক হত, এমনকি জীবনহানিও হত

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে অকুস্থলে ছুটে আসেন রেলের এরিয়া ম্যানেজার শ্রী এস উমেশ ও চুড়াইবাড়ি পুলিশ ওয়াচ পোস্টের ইনচার্য শ্রী সুপ্রিয় ভট্টাচার্য্য। কর্মকর্তারা এই বিপর্যয়ের কারণের তদন্ত শুরু করেছেন, যদিও এখন পর্যন্ত তাঁরা কোনও কিছু প্রকাশ করেনি। বুদ্ধিমত্তা ও সচেতনতার দ্বারা রেলচালক সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ধীরে ধীরে রেলের গতি কমিয়ে বড় রকমের দুর্ঘটনা আটকে দিতে সক্ষম হন।

এদিকে, একটি দুর্ঘটনা ত্রাণ ট্রেন বদরপুর থেকে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাত্রীদের সহায়তা করছে। ট্রেনটিকে চুড়াইবাড়িতে ফিরিয়ে আনা হয় এবং যাত্রীদের সকল প্রয়োজনের ব্যবস্থা নেওয়া হয় পরে বিকেল ২:৪৫ মিনিট নাগাদ পুনরায় নিজ গন্তব্যস্থলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হুয়ার সবুজ সঙ্কেত পায় হামসফর এক্সপ্রেস।

এই আকস্মিক দুর্ঘটনায় যদিও কোনপ্রকার হতাহতের খবর নেই, কিন্তু এ ঘটনার পর থেকেই রেল কর্তৃপক্ষের খামখেয়ালিপনার নানা অভিযোগ প্রকাশ্যে বেরিয়ে এসেছে। সূত্রের খবর, এদিন প্রায় দেড় হাজার যাত্রী এই ট্রেনটিতে ছিলেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় রেলওয়ে লাইনটি নিয়মিত পরিচর্য্যার অভাবে রীতিমতো ধুঁকছে এবং সারাইয়ের জন্য কোনও রেলকর্মীকে পাওয়া যায় না। এতে লাইনের জয়েন্ট থেকে জয়েন্ট পিন খুলে গিয়ে এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে স্থানীয়দের ধারণা।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu