সবুজ ত্রিপুরা, চুড়াইবাড়ি প্রতিনিধি,
১৯ এপ্রিল : ভোটের মুখে আবারো পাঁচ রোহিঙ্গা যুবতী সহ এক পাচারকারী
ধরা পড়ল ত্রিপুরা-আসাম সীমান্তে চুরাইবাড়ি থানার হাতে। বাংলাদেশ ও মায়ানমার
থেকে ভারতে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের করিডোর ত্রিপুরা হয়ে শতশত রোহিঙ্গা ভারতের বিভিন্ন
রাজ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। আর এই কাজে জড়িত
রয়েছে ভারতের একাধিক দালাল চক্র।
ধৃত পাচারকারী শামোল মিয়া |
এদিকে, একই
ভাবে আজ রাজধানী আগরতলা থেকে বিশালগড়ের গোকুলনগরের বাসিন্দা শামোল মিয়া (২৮), পিতা হোসেন মিয়া, নামে এক পাচারকারী
ছয় হাজার টাকার বিনিময়ে নিজের টিআর০১-একে-০২১১ নম্বরের
মারুতি ভ্যান গাড়ি করে করিমগঞ্জের উদ্দেশ্য রওয়ানা দেয়। রাজ্যের সবকটি থানা পেরিয়ে অবশেষে চুরাইবাড়ি থানার
হাতে ধরা পড়ে। ধৃত পাঁচ যুবতীর নাম জন্নত, আবিজা, হালেছা, রাবিকা এবং রাসিদা। এদের প্রত্যেকের বয়স ১৮-২০ বছর। পুলিশের জেরায় তারা স্বীকার করেছে যে, তাদের প্রত্যেকেরই বাড়ি
প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের কক্সবাজারে।
আজ বিকেলে ধৃতদের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্বাস্থ্য
পরীক্ষা করে ধর্মনগর আদালতে সোর্পদ করা হয়।
এদিকে, এই বিষয়ে চুরাইবাড়ি থানার কোনো প্রতিক্রিয়া জানা
যায়নি। পুলিশের
কর্তারা নিজেদের গাছাড়া মনোভাব প্রকাশ করেন। তাদের এই ঢিলেঢালা মনোভাবের কারণ জানা যায়নি। তবে
পাচারকারী স্বীকার করেছে যে, আগরতলার চন্দ্রপুর থেকে ৫ যুবতীকে সে করিমগঞ্জ নিয়ে যাচ্ছিল।
এ মর্মে চুড়াইবাড়ি থানা একটি মামলা হাতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। মামলাটি
নম্বর 10/19/CRB/PS, US 14 FOR act 1946, 6 of passport act 1950। পাশাপাশি পাচারকারী শামোল মিয়া ও তার মারুতি ভ্যান গাড়িটি
চুড়াইবাড়ি থানার হেফাজতে রয়েছে।
ছবি: কিশোররঞ্জন হোর।
0 মন্তব্যসমূহ