ন্যায্যমূল্যের দোকানের মাধ্যমে সকল ভোক্তাদের চিনি দেওয়া হবে: খাদ্যমন্ত্রী।


সবুজ ত্রিপুরা, সংবাদমাধ্যম, ০১ মার্চ: গণবন্টন ব্যবস্থাকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে আজ খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের উদ্যোগে ক্রয় করা ৪টি নতুন পণ্যবাহী গাড়ির আনুষ্ঠানিক শুভারম্ভ হলো। অরুন্ধতীনগরস্থিত কেন্দ্রীয় খাদ্য ভাণ্ডারেএর শুভ উদ্বোধন করেন খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের মাননীয় মন্ত্রী শ্রী মনোজ কান্তি দেব। নিজের ভাষণে তিনি বলেন, এই পদক্ষেপের ফলে রাজ্যের গণবন্টন ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে এবং আগামীদিনে সময়োপযোগী নতুন নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তিনি বলেন, রাজ্যে ১৮০৯টি সরকারী ন্যায্যমূল্যের দোকান রয়েছে যেখানে ৩৩টি খাদ্য গোদাম থেকে নিয়মিতভাবে ন্যায্যমূল্যের পণ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। শ্রী দেব আরও বলেন যে, গণবন্টন ব্যবস্থায় দুর্নীতিরোধে প্রতিটি সরকারী ন্যায্যমূল্যের দোকানে সোয়াইপ মেশিন বসানো হয়েছে। ইতিমধ্যে সারা রাজ্যে ৬২ হাজার ভুয়ো রেশন কার্ড ধরা পড়েছে, যার ভোক্তাসংখ্যা ২ লক্ষ ৮১ হাজার মানুষ। ফলে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার উভয়েই ক্ষতিগ্রস্থ হতো।

          শ্রী দেব জানান, আগামী দু’মাসের মধ্যে সমস্ত রেশনকার্ডধারী ভোক্তাদের সরকারী ন্যায্যমূল্যের দোকানের মাধ্যমে চিনি প্রদান করা হবে। রাজ্যের গণবন্টন ব্যবস্থার উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসার জন্য তিনি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, রাজ্য সরকারের অন্যতম যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের ফলে এফ সি আই রাজ্যের কৃষকদের কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় করছে, যার ফলে কৃষকেরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে।

          অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির ভাষণে খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের সচিব শ্রী দেবাশীষ বসু বলেন যে, রাজ্যের গণবন্টন ব্যবস্থা দেশে মডেল হিসেবে গণ্য ও প্রশংসিত। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনায় রাজ্যে এখন পর্যন্ত ৮০% সুবিধাভোগী রান্নার গ্যাসের সংযোগ পেয়েছেন এবং আগামী এক বছরে এই লক্ষ্যকে ১০০% সুবিধাভোগীতে সম্প্রসারিত করার প্রয়াস করা হবে। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্যান্য ব্যক্তিত্বরা ছিলেন খাদ্য, জনসংভরণ ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক দপ্তরের অধিকর্তা শ্রী হীরেন্দ্র দেববর্মা ও যুগ্ম অধিকর্তা শ্রী মানিক লাল বৈদ্য।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu