কদমতলা বিধানসভা কেন্দ্রের সংখ্যালঘু মোর্চার উদ্যোগে বুদ্ধিজীবী সম্মেলন।

সবুজ ত্রিপুরা, চুরাইবাড়ি প্রতিনিধি, ২০ ফেব্রুয়ারি:- উত্তর জেলার ৫৪ কদমতলা বিধানসভা কেন্দ্রের কদমতলা সংখ্যালঘু মোর্চার উদ্যোগে এক বুদ্ধিজীবী সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। প্রথমে ভারতীয় জনতা পার্টির সংখ্যালঘু মোর্চার বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দরা কর্মীদের নিয়ে  কদমতলা বাজারে একটি রেলি প্রদর্শনী করেন। তারপর কদমতলা টাউন হলে বুদ্ধিজীবী সম্মেলনে অংশ নেন। কদমতলা মন্ডলের সংখ্যালঘু মোর্চার উদ্যোগে আজকের এই বুদ্ধিজীবী সম্মেলনে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন করেন রাজ্যের সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি তথা হজ কমিটির চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন মহোদয়। তাছাড়া অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ভারতীয় জনতা পার্টির উত্তর জেলার সভাপতি ভবতোষ দাস, উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক জহর চক্রবর্তী,কাজল দাস, উত্তর জেলার সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি শাহাবুদ্দিন, কদমতলা মন্ডল সভাপতি বিদ্যাভূষণ দাস, কদমতলা মন্ডলের সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি মনসুর আলী প্রমুখরা। সংখ্যালঘু মোর্চার উদ্যোগে আজকের বুদ্ধিজীবী সম্মেলন বেলা ১ ঘটিকায় অনুষ্ঠিত হয় কদমতলা টাউন হলে। তাছাড়া উপস্থিত ছিলেন  কদমতলা বিধানসভা কেন্দ্রের সংখ্যালঘু মোর্চার সকল স্তরের কর্মীবৃন্দ ও বুদ্ধিজীবী নাগরিকগণ। আজকের সংখ্যালঘু মোর্চার উদ্যোগে বুদ্ধিজীবী সম্মেলনে অতিথিরা তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য সরকার বিভিন্ন স্কিম হাতে নিয়েছে ও বাস্তবায়ন করেছে তাও তুলে ধরেন। 
পূর্বের বাম সরকারকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করেন পাশাপাশি কংগ্রেস দলকে নিশানা করেন সম্মেলনে আজকের উপস্থিত অতিথিরা। আজকের বুদ্ধিজীবী সম্মেলনের প্রধান বক্তা সংখ্যালঘু মোর্চার রাজ্য প্রদেশ সভাপতি তথা ত্রিপুরা হজ কমিটির চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেন, রাজ্যে নতুন সরকার আসার পর গোটা রাজ্যের পিছিয়ে পড়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মানুষের জন্য অনেক চিন্তা ভাবনা করছে রাজ্য সরকার এমনকি বিভিন্ন স্কিম বাস্তবায়ন করেছে এই সরকার। পূর্বের বাম সরকারের আমলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছাত্র ছাত্রীদের জন্য সর্বাধিক পাঁচ লক্ষ টাকা ঋণ দিতো পূর্বের সরকার। কিন্তু বর্তমান বিজিবি সরকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মাইনোরিটি নেশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশনের গাইডলাইন অনুসারে ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিচ্ছে এমন কি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কোন ছাত্র-ছাত্রী যদি বিদেশে গিয়ে পড়াশোনা করতে চায় তাহলে সর্বাধিক ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রাজ্য সরকার ঋণ দেবে বার্ষিক ৪% সুদে। যা পূর্বের সিপিআইএম সরকার কোনদিন ভাবতেও পারেননি। কিন্তু তা বাস্তবায়ন করছে বর্তমান বিজিবি সরকার। সংখ্যালঘু মোর্চার রাজ্য সভাপতি আরো বলেন, আজকের বুদ্ধিজীবী সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য হলো রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের মানুষদের কিভাবে উন্নত করা যায়, আর পিছিয়ে পড়া মানুষ উন্নত হলে রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর স্লোগান এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা বাস্তবায়ন হবে।আর তার লক্ষ্যে কদমতলা বিধানসভা কেন্দ্রের মত রাজ্যের সবকটি বিধানসভা কেন্দ্রে সংখ্যালঘু মোর্চার উদ্যোগে বুদ্ধিজীবী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পাশাপাশি আজকের বুদ্ধিজীবী সম্মেলনে কদমতলা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি দলের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
ছবি: কিশোররঞ্জন হোর। 
 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu