রাগনা উপপ্রধানকে দলীয় অনুশাসনের পরিপন্থী কাজের জন্য সাংঘঠনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি ।



আবার প্রমানিত হল বিজেপি ব্যক্তি নিষ্ঠা নয় রাষ্ট্র নিষ্ঠা । রাগনা উপপ্রধানকে দলীয় অনুশাসনের পরিপন্থী কাজের জন্য সাংঘঠনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি ।
সবুজ ত্রিপুরা, ধর্মনগর প্রতিনিধি, ২জানুয়ারীঃ ভারতীয় জনতা পার্টি এক অনুশাসিত রাষ্ট্রবাদী রাজনৈতিক দল হিসাবে সকলের কাছে পরিচিত । গত বছর ত্রিপুরাতে সরকার পরিবর্তিত হলে কিছু কার্যকর্তাদের কার্যকলাপে দলের ভাবমূর্তির উপর প্রভাব পরছিল ।সেই কারনে ত্রিপুরার বিভিন্ন জেলায় সেই সকল কার্যকর্তাদের বিরুদ্ধে দল কঠোর হাতে মোকাবিলায় নামে । গত ২৭ডিসেম্বর দলের অনুশাসনের পরিপন্থী কাজের জন্য রাগনা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শ্রীনিখিল পালকে ছয় মাসের জন্য দলের সকল দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন ধর্মনগর মন্ডল বিজেপির সভাপতি শ্রীঅলকেশ আদিত্য এবং সেই সাথে আগামী ৩জানুয়ারীর রাগনা গ্রামের উপপ্রধানের পদথেকে অব্যাহতি দিতে আদেশ দেওয়া হয়েছে । এখানে উল্লেখ্য যে গত ২২ ডিসেম্বর চন্দ্রপুর প্রাথমিক কমিটির এক লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্মনগর মন্ডল জেলার কার্যকর্তারা এক সাংঘঠনিক বৈঠকে বসেন এবং চন্দ্রপুর প্রাথমিক কমিটির অভিযোগের সত্যতা প্রমান হওয়ায় এই সিদ্ধান্ত নেন । ঐ সাংঘঠনিক বৈঠকে ধর্মনগরের মাননীয় বিধায়ক তথা ত্রিপুরা বিধানসভার উপাধক্ষ্য শ্রীবিশ্ববন্ধু সেন উপস্থিত ছিলেন । ঘটনার সুত্রপাত ঘটে ১০ ডিসেম্বর ধর্মনগর পশু হাসপাতালের পাশে রাস্তার এক সামান্য ঝগরাকে উপলক্ষ করে । ফলে নিখিল দাস কিছু লোক নিয়ে, চন্দ্রপুর বাজারের এক প্রবীন ব্যবসায়ী শ্রীযুক্ত মনোজ ভট্টাচর্য্যের দোকানের জিনিষপত্র ভাঙচুর করেন এবং উনার ছেলেদের মারধোর করেন । তার পরই উনি স্থানীয় বিজেপি কর্মকর্তাদের গালিগালাজ করেন । বাড়ী ফেরার পথে বিজেপি ধর্মনগর মন্ডল সদস্য শ্রীঅশোক দাস ও সাধারন সদস্য শ্রীবিক্রম অধিকারীর বাড়ীতেও আক্রমন করেন । ঘটনার পর চন্দ্রপুর বাজার কমিটি ও শ্রীমনোজ ভট্টাচার্য্য শ্রীপালের নামে ধর্মনগর থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন । তার আগে গত বছর মে মাসেও ঠিক সেই রকম অন্য একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিজেপি কর্মকর্তাদের গালিগালাজ করেছিলেন । সেই সময়ও চন্দ্রপুর প্রাথমিক কমিটির পক্ষ থেকে শ্রীপালের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ আনা হয়েছিল ।স্থানীয় মানুষের সঞ্জে কথা বলে জানা যায় ঘটনার মূল সুত্রপাত চন্দ্রপুর বাজারের জায়গা বেআইনি দখল নিয়ে । ধর্মনগর নটিফাইড এ্যারিয়া অথরিটির চেয়ারম্যান স্বর্গীয় দেবীপ্রসাদ পুরকায়স্থ উনার ব্যক্তিগত উদ্যোগে চন্দ্রপুর বাজারের জন্য কিছু জায়গা সরকারি ভাবে ক্রয় করিয়ে ছিলেন । সপ্ন ছিল চন্দ্রপুর আপামর জনগনের উন্নয়ন । কিন্তু পরবর্তী সময়ে বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় আসলে জমিটি দখল হয়ে যায় । গত বছর ত্রিপুরাতে সরকার পরিবর্তন হলে চন্দ্রপুরের জনগন বাজারের জমি উদ্ধারের প্রচেষ্টায় লাগেন । সেই মর্মে ধর্মনগর মহকুমা শাষকের কাছে জমি ডিমারগেশন করার জন্য আবেদন করেন এবং তার ভিত্তিতে গত ১ আগষ্ট ডিসিএমডি কলই ডিমারগেশন করেন ও পিলার নির্ধারন করেন । এরপ্র থেকেই একটি চক্র চন্দ্রপুর এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট করতে বিভিন্নভাবে সচেষ্ট হয় । আবার নিখিল পালের সাথে সিপিআইএম এর কিছু নেতার সম্পর্ক নিবিড় । কারন নিখিল পাল বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে সিপিএমএ ছিলেন । স্থানীয় জনগনের মতে ঐসব কারনেই নিখিল পাল বার বার এসে চন্দ্রপুর এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটান এবং স্থানীয় বিজেপি কর্মকর্তাদের নানাভাবে অপদস্থ করেন । এলাকাবাসীর বক্তব্য থেকে জানা যায় চন্দ্রপুর এলাকায় বাজারের দাবি দীর্ঘ দিনের । আর মহকুমা প্রশাসন যদি, অতি সত্তর বাজারের দখল কার জায়গা খালি করে বাজারের ব্যবস্থা না করেন তবে চন্দ্রপুর উন্নয়ন কমিটি আগামীদিনে বৃহত্তর আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu