২০১৫ সালে বক্সনগর দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবনের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হলেও আজও উদ্বোধনের অপেক্ষার প্রহর গুনছে-Sabuj Tripura

 

 সবুজ ত্রিপুরা

২২ আগস্ট

সোমবার

বক্সনগর প্রতিনিধিঃ বর্তমানে ত্রিপুরার শিক্ষাদপ্তর এক করাল কালো মেঘের ঢেকে যাওয়ার অবস্থার সম্মুখীন।এর কারণ অজস্র। পূর্বতন সরকার তথা এলাকার বিধায়ক ও প্রাক্তন মন্ত্রী শহীদ চৌধুরীর হাত ধরেই  বক্সনগর দ্বাদশ শ্রেণীর বিদ্যালয়ের 

পঠন পাঠনে এক নতুন পালক যুক্ত করেছিলেন ২০১৫ সালে।তিনি আপ্রাণ চেষ্টায় একটি দ্বিতল ভবন উপহার দিয়েছিলেন বক্সনগরের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য।কিন্তু খুবই পরিতাপের বিষয় আজ দীর্ঘ সাত বছর অতিক্রান্ত হলেও এই ভবনটি উদ্বোধনের প্রহর গুনছে।বর্তমান ত্রিপুরার শিক্ষা মন্ত্রী রতন লাল নাথ গতবছর ২০২১ সালে এই বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন এবং তিনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন যে অতি দ্রুত এ দ্বিতল ভবনটি উদ্বোধন এর মাধ্যমেই ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়া বিস্তারের অগ্রণী ভূমিকা পালন করার কথাও বলেছিলেন কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আজও সেই দ্বিতল ভবনটির উদ্বোধন হয়নি। বর্তমানে এিপুরার শিক্ষা ব্যবস্থা অনেকটাই তার মানদণ্ড হারাচ্ছে,একেতো প্রতিটি স্কুল শিক্ষক স্বল্পতায় ভুগছে আর তার ধরুন ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের গভীর চাদরে ঢেকে যাচ্ছে। 

                          হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

যার সদুত্তর শিক্ষাদপ্তর আজ অব্দি ত্রিপুরা বাসির সামনে প্রকাশ করতে পারেনি।এলাকার বিধায়ক শহীদ চৌধুরী কিছুদিন পূর্বে তার বিধায়ক তহবিল থেকে এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে বক্সনগর বক্সনগর বিধানসভা এলাকায় বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা করার জন্য চেয়ার-টেবিল বাবদ অর্থ বরাদ্দ করেন,কিন্তু সেই বরাদ্দকৃত অর্থ কতটুকু ছাত্র-ছাত্রীদের কাজে ব্যয় হয়েছে এবং ছাএ ছাএীদের বিভিন্ন সমস্যার খবর নিতেই আজ বক্সনগর দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় পরিদর্শনে যান এবং সেখানে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে বর্তমান স্কুলের সমস্যা কথাবার্তা বলেন এবং স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সদানন্দ দেববর্মা সাথে আলোচনা করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় এ দ্বিতল ভবনটিকে উদ্বোধন করার জন্য শাসক দলের নেতা মন্ত্রীদের কাছ থেকে আজ অব্দি তেমন কোনো সদুত্তর ভূমিকা গ্রহণ করতে দেখা যায়নি।শাসক দলের নেতা-নেত্রীরা বিভিন্ন সভা এবং সমাবেশে গলা ফাটিয়ে রাজ্যে শিক্ষা ব্যবস্থার  

গুনগান গাইলেও তা বাস্তবের মাটিতে কতটা ফলপ্রসূ তা সমগ্র ত্রিপুরার জনগণ ভালো করেই বুঝতে পারছেন।তবে এখন দেখার বিষয় শিক্ষা দপ্তরের কতটা টনক নড়ে এবং কবে  বক্সনগর এলাকার ছাত্র ছাত্রীরা এই দ্বিতল ভবনে পঠন-পাঠনের মধ্য দিয়ে  শিক্ষা গ্রহণ করার সুযোগ পান।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu