বিএসএনএল ইন্টারনেট পরিষেবার বেহাল দশায় বিপর্যস্ত জনজীবন


সবুজ ত্রিপুরা,
২২ মে, ২০২০


নিজস্ব প্রতিবেদন: বর্তমান যুগের জীবনযাত্রার এক অন্যতম প্রয়োজনীয় চাহিদার নাম ইন্টারনেট। শিক্ষা, কর্মক্ষেত্র, জ্ঞান-বিজ্ঞান, গবেষণা, চিকিৎসা, ব্যাঙ্ক, ন্যায্যমূল্যের দোকান প্রতিটি ক্ষেত্রেই এর গুরুত্ব অপরিসীম। কিন্তু এই ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাহত হলে আসে নানা রকম বিঘ্ন। কিছুটা এমন চিত্রই পরিলক্ষিত হচ্ছে উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগর শহরে। প্রায় প্রতিদিনই কোনও না কোনও ভাবে ইন্টারনেট পরিষেবাটি সঠিক ভাবে প্রাপ্ত না হওয়ায় দৈনন্দিন কাজে সমস্যা দেখা দিচ্ছে, যার ফল ভোগ করছেন সাধারণ জনগণ।


অফিসে-আদালতে জরুরী কাজে ইন্টারনেট না থাকায় বিলম্বিত হচ্ছে বহু প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ। জনসাধারণ নেট পরিষেবা না পাওয়ায় কোনও দরকারী কাজ করাতে গিয়ে খালি হাতে নিরাশ হয়ে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। বিঘ্নিত হচ্ছে ব্যাঙ্ক পরিষেবাও। নেট না থাকায় পরিষেবা পাওয়ার জন্য দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। একই সমস্যা ন্যায্যমূল্যের দোকানেও। আজকাল বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আঙ্গুলের ছাপ দিলে পরই রেশন সামগ্রী মিলে।  কিন্তু নেট না থাকলে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন ভোক্তারা।


তাছাড়া, আজকাল স্কুল-কলেজ পড়ুয়ারা তাদের পাঠ্য বিষয়বস্তুর অধিকাংশই ইন্টারনেটের মাধ্যমে সংগ্রহ করে থাকে। বর্তমানকালে করোনা মহামারীর জেরে দেশজুড়ে চলা লকডাউনের ফলে পড়াশোনায় অনেক ক্ষতি হয়েছে। তাই এর সমাধানে বিভিন্ন স্কুল ও কোচিং সেন্টার পড়ুয়াদের সুবিধার্থে চালু করেছে অনলাইন ক্লাস। কিন্তু নেট না থাকায় ছাত্রছাত্রীদের পঠনপাঠন বিঘ্নিত হচ্ছে। একইভাবে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা পরিষেবাও। বিভিন্ন হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ইত্যাদিতে নানা কাজে এর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।


উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ও বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশের কক্সবাজারের সাথে ভারতের ১০ জিবিপিএস ব্রডব্যাণ্ড পরিষেবা চালু হয়। কিন্তু এ বছর ফেব্রুয়ারী মাসে এই চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় রাজ্যের গ্রাহকরা সেই পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বর্তমানে আগরতলা-চেন্নাই ভায়া কলকাতা ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদান করছে বিএসএনএল, যার গতি অনেকটা শ্লথ। পুনরায় সেই ১০ জিবিপিএস ব্রডব্যাণ্ড পরিষেবাটি চালু না হওয়া পর্যন্ত হয়তো রাজ্যবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হতে পারে। তবে বর্তমানে এই সমস্যার সমাধান অত্যন্ত প্রয়োজন। নিরন্তর, অবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগই একমাত্র কাম্য।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu