দৃষ্টিহীন নাবালিকা ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মী ১৪ দিনের জেল হেফাজতে




সবুজ ত্রিপুরা, নিজস্ব প্রতিনিধি, ১৫মে: দৃষ্টিহীন ১৪ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মী দিলীপ দাসকে আজ ১৪ দিনের জেল হেফাজত দিল জেলা দায়রা আদালত। 



ঘটনার বিবরণে জানাযায়, উত্তর জেলার চুড়াইবাড়ি থানায় কর্মরত হোম গার্ড দিলীপ দাস (৫৬) পিতা মৃত দিগম্বর দাস দীর্ঘ ৪/৫ বছর যাবৎ কদমতলা এলাকার ১৪ বছরের দৃষ্টিহীন নাবালিকাকে টাকা-পয়সা, ভালো খাবার ও চিকিৎসার প্রলভন দেখিয়ে দীর্ঘ দিন যাবত শারীরিক সম্পর্ক করে আসছিল। কিন্তু বহুবার ঐ নাবালিকা বাধা দিলে তাকে প্রাণে মারার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ ঐ পুলিশ কর্মী বিরুদ্ধেএমনকি ঐ গুণধর পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ যে, মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়লে স্থানীয় প্রেমতলার তপন আচার্য নামের এক হাতুড়ে ডাক্তার দ্বারা গর্ভপাত ও করানোর।  

মেয়েটির পিতার সাথে ঐ পুলিশ কর্মী দিলীপ দাসের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। সে রোজ তাদের বাড়িতে আসতো। দিলীপ দাসের সাথে মেয়েটির পিতা প্রায়শই বাড়িতে গাজার আসরে বসতো বলে জানা যায়। আর সুযোগ বুঝেই সেই নাবালিকাকে ধর্ষন করতো দিলীপ দাস। অবশেষে অসহায় দৃষ্টিহীন নাবালিকা গ্রামের লোকজন বিষয়টি জানালে। গ্রামবাসী একত্রিত হয়ে বৃহস্পতিবার রাত্রিবেলা পুলিশকর্মী দিলীপ দাসকে হাতেনাতে পাকড়াও করে। তারপর খবর দেওয়া হয় কদমতলা থানায়। 

ঘটনার খবর পেয়ে কদমতলা থানার ওসি কৃষ্ণধন সরকার পুলিশ ও টিএসআর নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তারপর এলাকাবাসী ও ধর্ষিতা নাবালিকার বয়ান মোতাবেক অভিযুক্ত হোম গার্ড দিলীপ দাসকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। অভিযুক্ত ধৃত হোম গার্ড পুলিশকর্মী দিলীপ দাসকে আজ ধর্মনগর জেলা আদালতে প্রেরণ করলে উত্তর জেলা দায়রা আদালতের বিচারক অভিযুক্ত দিলীপ দাসকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। এমন ঘৃণ্য ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu