সবুজ ত্রিপুরা, চুড়াইবাড়ি প্রতিনিধি,
২৭ জুন : ত্রিস্তর পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের
নির্বাচনের আগে সিপিএম দল সাফ। দলবদলের হিড়িক চলছে। কাতারে কাতারে সিপিএম নেতা, কর্মী, পঞ্চায়েত
সদস্যদের বিজেপিতে
যোগ দেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে।
উত্তর জেলার ৫৪ কদমতলা কুর্তি বিধানসভাটি বর্তমানে বামেদের
দখলে
এতকাল ছিল, কিন্তু সেই বিধানসভায় এবার
বামেদের অস্তিত্ব সংকটে। সব আসনে বামেরা প্রার্থী দিতে পারবে কি না তা নিয়ে
সংশয় রয়েছে। কদমতলা-কুর্তি
বিধানসভা কেন্দ্রের ব্রজেন্দ্রনগরে বিজেপি দলের যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি তথা শিল্পোন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান টিংকু রায়ের হাত ধরে ৪৮
পরিবারের ১৭০ জন ভোটার সিপিআইএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। তাদের
হাতে দলীয় পতাকা দিয়ে দলে বরণ করে নেন শ্রী রায়। দলত্যাগীদের
মধ্যে রয়েছে
ডি এফ আই, এস এফ আই, পঞ্চায়েত সদস্য থেকে
শুরু করে সিপিএমের অঞ্চল ও শাখা কমিটির সদস্যরা, যারা এখন বিজেপি দলে সামিল হন।
ব্রজেন্দ্র নগর গ্রামের টিলাবাড়িতে আজকের এই সমর্থনী
সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সমর্থনী সভায় উপস্থিত ছিলেন শ্রী টিংকু
রায়
মহোদয়। তাছাড়া উপস্থিত ছিলেন উত্তর জেলার কিষান মোর্চার সহ
সভাপতি
শ্রী সুব্রত দেব, মন্ডল প্রভারী শ্রী পীযূষ কান্তি নাথ, মন্ডল সভাপতি শ্রী বিদ্যাভূষণ দাস সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। আজকের এই সমর্থনী সভায় প্রধান অতিথিরূপে নিজের বক্তব্য রাখতে
গিয়ে শ্রী টিংকু রায় বলেন, কদমতলাকে নগর পঞ্চায়েত করা হবে এই সরকারের মেয়াদকালে। গত দেড়
বছরের মধ্যে অনেক কাজ হয়েছে। কদমতলায় ডিগ্রী কলেজ, আগরের চাষের বৈধতা ইত্যাদির মতো আরও একাধিক
উন্নয়ন হচ্ছে। কিন্তু এই উন্নয়নের জন্য আন্দোলন করতে হচ্ছে না। শ্রী রায় আরও বলেন যে, কেন্দ্রে মোদি সরকার এবং রাজ্যেও
বিপ্লব দেবের বিজেপি সরকার সুতরাং পঞ্চায়েত স্তরেও রাজ্যের সাধারণ জনগণ বিজেপি
দলকে ভোট দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করবেন। পাশাপাশি
আজকের এই সমর্থনী সভায় দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।
0 মন্তব্যসমূহ