মাত্র ৪ বছর বয়সেই সে তার অংকন শুরু করে। সেই সময়ে তার আঁকা নিয়ে আগ্রহ লক্ষ করে তার মা বাবা। সেই সময় থেকেই তাকে সাপোর্ট করেন তারা।পড়াশোনার ফাঁকে যখনই সময় পায় কেনভাসে কিছু না কিছু আঁকত সে। এখন তার নিজের হাতে তৈরী করা বিভিন্ন চিত্র সহ নানা সামগ্রী ব্যবহার করে আঁকা মনমুগ্ধকর জিনিস শোভাবর্ধক হয়ে রয়েছে ঘর। কিনা সুন্দর তার হাতের কাজ, সত্যি মন জুরিয়ে যায় দেখে। তেলিয়ামুড়া আসাম রাইফেল সেন্ট্রাল স্কুলে অস্টম শ্রেণীর ছাত্রি সে। পড়াশোনায় ও স্কুলের ক্লাসের সেরা সে। দেবশ্রীতার প্রতিভার বিশেষ একটা দিক হল, সে খুব অল্প সময়ে ডিমের খোসার উপর পেনসিল দিয়ে বিভিন্ন মনিষীদের ছবি আঁকতে পারে। এছাড়াও এক্রালিক পেইন্টিং, চারকোল পেনসিল স্ক্রেচ,মানডালা আর্ট, স্টিল লাইফ পেইনটিং, টেরাকোটা, ক্রাফ, এবস্ট্রাকটএক্রালিক পেইন্টিং আরও কয়েক ধরনের প্রতিভা রয়েছে তার মধ্যে। বাবা পেট্রোল পাম্পের ব্যবসার সাথে যুক্ত এবং মা ১০৩২৩ এর চাকুরিচ্যুত এর বড় মেয়ে দেবশ্রীতা আলাপচারিতায়
জানায় সে ইন্ডিয়ান বুক রেকর্ডের জন্য নাম পাঠায়। সেখান থেকেও তার প্রতিভাকে দেখে তার সংগে যোগাযোগ করা হয়। খুব শীঘ্রই হয়তো ডাক আসতে পারে। বাইজুস ইয়ং জিনিয়াস এ তার প্রতিভা প্রশংসিত হয়। কে বিসি স্টুডেন্টস স্পেশিয়াল এডিশনে ও সে সুযোগ পেয়েছিল। সে সময় তার পারিবারিক সমস্যার কারনে সে যদিও যেতে পারেনি। এছাড়াও ত্রিপুরার বিভিন্ন স্থানে তাকে এই প্রতিভার জন্য পুরস্কৃত করা হয়। তার হাতের চিত্র ত্রিপুরার মাননিয় মন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব, বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যানী রায় মহোদয়ার হাতে তুলে দিয়েও প্রশংসা কুরিয়ে নেয়।
বলাচলে ভারত সরকারের সাথে ত্রিপুরা রাজ্য সরকারের বেটি বঁচাও বেটি পড়াও এর স্লোগান বাস্তবে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা দেবশ্রীতার মত প্রতিভাবান মেয়েদের কে দেখলে পরেই উপলব্ধি করা সম্ভব।
0 মন্তব্যসমূহ