মুঙ্গিয়াকামী থানার পুলিশের হাতে আটক বিপুল পরিমাণে নেশা সামগ্রী-Sabuj Tripura

সবুজ ত্রিপুরা 

১৪ ফেব্রুয়ারি
সোমবার
তেলিয়ামুড়া প্রতিনিধিঃ তেলিয়ামুড়া থানা ও তেলিয়ামুড়া ট্রাফিক পুলিশের নাকের ডগা পেরিয়ে, মুঙ্গিয়াকামী থানার পুলিশের হাতে আটক বিপুল পরিমাণে নেশা সামগ্রী। 

ত্রিপুরা তরুণ মুখ্যমন্ত্রী বলছেন ত্রিপুরা রাজ্য কে নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার কথা, কিন্তু একাংশ থানার থানা বাবুদের বদান্যতায় মুখ্যমন্ত্রীর সেই স্বপ্ন রসাতলে যাচ্ছে।  সোমবার মুঙ্গিয়াকামী থানা এলাকার আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়কে ভিকেলস চেকিং -এ বসে বিপুল পরিমাণ শুকনো গাঁজা বাজেয়াপ্ত করে মুঙ্গিয়াকামি থানার পুলিশ। সোমবার মুঙ্গিয়াকামী থানা এলাকার আসাম-আগরতলা 

জাতীয় সড়কের ৩৯ মাইল এলাকায় ভিকেলস চেকিং -এ বসে MH 48 BM 1894 নাম্বারের একটি ছয় চাকার এস.এম.এল লরিতে চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে মোট ৩৬ টি প্যাকেটের মধ্যে ৩৪৩ কেজি শুকনো গাঁজা উদ্ধার করে মুঙ্গিয়াকামি থানার ও.সি গৌতম দেববর্মার নেতৃত্বে পুলিশ এবং টি.এস.আর বাহিনী এবং গাড়িতে থাকা গাড়ির চালক বহিঃ রাজ্যের বিহারের যুবক মোহাম্মদ উডসে রাজা নামের এক যুবককে আটক করা হয়। ঘটনার খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে ছুটে যান তেলিয়ামুড়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোনা চরণ জমাতিয়া সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী।  তবে গাঁজা গুলি আগরতলার দিক থেকে বহিঃ রাজ্যের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল বলে পুলিশ জানায়। আটককৃত গাঁজার বাজার মূল্য আনুমানিক ২০ লক্ষাধিক টাকা হতে পারে বলে জানা যায়। তবে রাজ্যে এত পরিমান গাঁজার উৎস কোথা থেকে হচ্ছে তা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।অন্যদিকে, তেলিয়ামুড়া থানার ট্রাফিক দপ্তরের কর্তা বাবুরা প্রায় প্রতি রোজ‌ই তেলিয়ামুড়া থানাধীন আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ফাইন আদায়ের জন্য দল বেঁধে বসে থাকে। কিন্তু দল বেঁধে বসে থাকা তেলিয়ামুড়া থানার ট্রাফিক বাবুদের ও তেলিয়ামুড়া থানার নাকের ডগা দিয়ে কিভাবে তেলিয়ামুড়া 

থানা এলাকার আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়ক ধরে প্রতিনিয়ত দিব্যি পেরিয়ে যাচ্ছে এই গাঁজা বোঝাই লরি গুলি এবং পরবর্তীতে এই গাঁজা বোঝাই লরি গুলি মুঙ্গিয়াকামী থানার পুলিশের হাতে প্রতিনিয়ত আটক হচ্ছে। তবে বলা বাহুল্য, তেলিয়ামুড়ার ট্রাফিক ব্যাবস্থা বর্তমানে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। যেদিন থেকে নতুন ট্রাফিক ডি.এস.পি হিসেবে বিক্রমজিৎ শুক্ল দাস নিজের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন তারপর থেকেই তেলিয়ামুড়া ট্রাফিক ব্যাবস্থা বর্তমানে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।  কারণ, তিনি পুলিশের ঠান্ডা কক্ষে ঠায় ঘাঁটি গেড়ে বসে থাকেন। ফলে বর্তমানে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে বর্তমান ট্রাফিক পরিষেবা। তেলিয়ামুড়া থানার পুলিশ ও  ট্রাফিক পুলিশের দীর্ঘদিনের এহেনো ভূমিকায় ইতিমধ্যে নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে সমাজের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মহলজুড়ে।


 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu