সঙ্গে সঙ্গে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বিমান যোগে শুক্রবার সকালে তার পার্থিব শরীর ধর্মনগর নদিয়াপুর স্থিত নিজ বাস ভবনে নিয়ে আসা হয়। তার অকাল মৃত্যুর খবরে গত দুদিন যাবত গোটা গ্রামেই নিস্তব্ধতা বিরাজ করছিল।সরকারী ভাবে শুক্রবার সকালে গ্রামে দেহ এসে পৌছূতেই অগনিত গ্রাম বাসি মৃত জাওয়ানের বাড়িতে ভিড় জমায়। তার বাড়ির পাশেই সরকারী মর্যাদায় জাওয়ানের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। সোমবার সকালে জাওয়ান গৌতম সিনহার মৃত দেহ বাড়ি এসে পৌছুতেই পরিবারে সকলেই এমনকি স্থানীয়রাও কান্নায় ভেঙ্গে পরে। তার বৃদ্ধা মা শশীকলা সিনহা, স্ত্রী কৃষ্ণা সিনহা এবং দুই মেয়ে রশ্নী সিনহা ও রিয়া সিংহার আকুল বেদনায়
উপস্থিত অধিকাংশই চোখের জল আটকে রাখতে পারেননি। সবেমাত্র ৬ বছেরর ছোট মেয়ে রিয়ার নিষ্পাপ চেহারা বারবার জেন তার বাবাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলার চেষ্টা করে চলছিল। বাবা যে চির নিদ্রায় চলে গেছে সেটা তার বোধগম্যের মধ্যেই ছিল না। গৌতম হিনহা অত্যন্ত মৃদুভাষী পরোপকারী লোক হিসেবেই এলাকায় সকলের সাথে যোগাযোগ রেখেই চলতেন। তার অকাল প্রয়ানে এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
0 মন্তব্যসমূহ