তবে ঠিক কি কি চুরি হয়েছে বা তার পরিমান কেমন সেই বিষয়ে অফিসের বর্তমান কর্মচারীরা অনুমান করতে পারেননি। পরবর্তী সময়ে দপ্তরের কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে হয়তো চুরির পরিমাণ কেমন তা পরিষ্কার হয়ে যাবে।তবে, প্রশ্ন উঠেছে কলমচৌড়া থানার দায়িত্ব ও ভূমিকা নিয়ে। দেখা গেছে দীর্ঘ প্রায় দুই ঘন্টারও বেশী সময় ধরে চুরি যাওয়া বিদ্যুৎ অফিসের সামনে সাংবাদিকসহ দফতরের কর্মীরা উপস্থিত হয়ে থাকলেও কোন খবর ছিল না থানা প্রশাসনের। যদিও দুটি স্থানের দূরত্ব সর্বোচ্চ এক কিলোমিটার। পরবর্তীতে বাধ্য হয়ে অফিসের কর্মচারী নিরন্জন সূত্রধর কলমচৌড়া থানার বড়বাবু বিষ্ণুপদ ভৌমিক কে ফোন করে ঘটনাস্থলে আসতে বললে তিনি অনেকটাই তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন। বড়বাবু বলেন, ঘটনাস্থলে যাওয়া তার কাজ নয়। তিনি বিদ্যুৎ কর্মীকে এক প্রকার শাসিয়ে বলেন থানার বড়বাবুকে ফোন করেন চুরি হওয়া ঘটনাস্থলে আসার জন্য,সেই বিষয়ে তার সাহস হলো কি করে
থানার বড়বাবু ধমকির সুরে বলেন, নিরঞ্জন বাবু সম্পর্কে তিনি সিনিয়র ম্যানেজারের নিকট অভিযোগ করবেন। কেননা তিনি থানার বড়বাবু কে চুরি হয়ে যাওয়া ঘটনাস্থলে আসার জন্য কেমন করে বলতে পারেন? সেই বিষয়ে তিনি যেন যথেষ্ট গুস্সা হয়েছেন। বিদ্যুৎ অফিসে চুরি যাওয়ার ঘটনাস্থলে থানা প্রশাসনের বিলম্বের কারণে বড়বাবুকে ফোনে বলাটা যেন বিদ্যুৎ কর্মচারীর নেহাত অন্যায় হয়েছে। বড়বাবু সেই বিদ্যুৎ কর্মচারীকে আরও জিজ্ঞাসা করেন,তার বাড়ি কোথায়? উত্তরে; নিরঞ্জন বাবু বলেছেন তার বাড়ি বক্সনগরে। ফলে বড়বাবু সেই প্রসঙ্গে টিটকিরির ছলে বলেন, ট্রান্সফার হয়নি তো। এই কারণেই এমন অবস্থা। বড়বাবুর এমন ফোনালাপে একপ্রকার ক্ষুব্ধ হয়েছেন বিদ্যুৎ কর্মীরা। থানার বড়বাবুর এমন বাক্যালাপের তীব্র নিন্দা করেন বিদ্যৎ কর্মীরা সহ উপস্থিত সাংবাদিকরা।
0 মন্তব্যসমূহ