অভিভাবক একত্রিত হয়ে মিয়াপাড়া হাই স্কুলের গেটের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলনে নামে-Sabuj Tripura

 

সবুজ ত্রিপুরা 

০৩ ডিসেম্বর

শুক্রবার

বিশালগড়  প্রতিনিধিঃ ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১১৯ , শিক্ষকের সংখ্যা মাত্র ১ । তাও প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত। যার পরিপ্রেক্ষিতে একজন শিক্ষক বাধ্য হয়ে তৃতীয় শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত তিনটি ক্লাস একটি ক্লাসের

মধ্যে করে গত ছয় মাস যাবত চালিয়ে যাচ্ছে। হায়রে শিক্ষাব্যবস্থা কি করুণ চিত্র আমাদের ক্যামেরায় ধরা পরল। ঘটনা কমলাসাগর বিধানসভা মিয়াপাড়া হাই স্কুলের প্রাতঃ বিভাগে। এলাকার অভিভাবকরা গত ছয় মাস যাবত স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে আরম্ভ করে বিশালগড় শিক্ষা অধিকর্তার নিকট জানানোর পরেও কোনো কাজ হয়নি।

                        হোয়াটসঅ্যাপে খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন

পরবর্তী সময়ে বাধ্য হয়ে শুক্রবার সকাল বেলা এলাকার অভিভাবক একত্রিত হয়ে মিয়াপাড়া হাই স্কুলের প্রাপ্ত বিভাগের গেটের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলনে নামে।তাদের বক্তব্য অতি দ্রুত সে বিদ্যালয়ে শিক্ষকের ব্যবস্থা করতে হবে নতুবা আগামী দিন আগরতলা- কমলাসাগর মূল সড়ক অবরোধে বসবে। এদিকে জানা যায় মিয়াপাড়া হাই স্কুল থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে রয়েছে দেবীপুর দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় সে বিদ্যালয়ে প্রায় কুড়ি জনেরও অধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছে। কিন্তু মিয়া পাড়া হাইস্কুলে কেন সেই অবহেলা করে যাচ্ছে যা নিয়ে এক প্রকার ক্ষুব্দ অভিভাবক মহল। গত ছয় মাস যাবত বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক কি করে প্রথম শ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত ১১৯ জন ছাত্রছাত্রীর শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছে, আর কতটুকু শিক্ষা পেয়ে ছাত্রছাত্রীরা আগামী দিনে মা-বাবার স্বপ্ন পূরণ করবে তা কিন্তু সময় বলবে। এদিকে বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন গত কয়েক মাস যাবত তৃতীয় শ্রেণি, চতুর্থ শ্রেণি এবং পঞ্চম শ্রেণি ছাত্র-ছাত্রীদের একসাথে করে শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছে। তার মূল কারণ শিক্ষক স্বল্পতার দরুন। 

এদিকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা কোন জায়গায় গিয়ে ঠেকেছে ১১৯ জনের জন্য একজন শিক্ষক কি করে সম্ভব। যার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষুব্দ অভিভাবকরা আন্দোলনের পর সাফ হুঁশিয়ারি দেন যদি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে শিক্ষক স্বল্পতা দূর না করে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu