Representative team in North District to know the exact details of the Chief Minister's Special Relief Package.
সবুজ ত্রিপুরা
৩ জুলাই
শনিবার
পানিসাগর প্রতিনিধি:- করোনা কালীন পরিস্থিতিতে সাধারন জনগনের জীবন জীবিকা নির্বাহের লক্ষ্যে রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের অনুপ্রেরনায় সরকারি প্রতিটি ন্যায্য মূল্যের দোকানের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী স্পেশাল রিলিপ প্যাকেজ বিতরন করা হয়।
এই মর্মে বিগত ১১/০৬/২১ ইং থেকে এই রিলিফ প্যাকেজ বিতরনের কাজ শুরু করা হয়। এরই অঙ্গ হিসাবে বিগত ৩০ জুন থেকে দুই জুলাই পর্যন্ত তিন দিন ব্যাপি স্পেশাল প্যাকেজ বিতরনের দিন হিসেবে ধার্য্য করা হয়েছে।
নির্ধারিত এই তিন দিনে যে সমস্ত গ্রাহকরা ন্যায্য মূল্যের দোকান থেকে রিলিপ প্যাকেজ নেন নি, তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মহকুমা প্রশাসনের প্রতিনিধিরা রিলিপ প্যাকেজ বিতরন করেন।
এই মর্মে বিগত তিনদিন পুর্বে গোটা উওর জেলা জোরে উৎসাহের মেজাজে রিলিপ প্যাকেজ বিতরনের কাজ সম্পন্ন করেন।
তবে রাজ্য সরকার কতৃক এই ধরনের রিলিফ প্যাকেজ বিতরন সঠিক ভাবে হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে উর্ধতন কতৃপক্ষের আধিকারিক দের দিয়ে সমস্ত জেলা জোরে তদন্তের কাজ জারি রাখা হয়েছে।
এরই ফলশ্রুতিতে গতকাল উওর জেলার পানিসাগর মহকুমা জোড়ে রাজ্যের তপশিলি জাতি কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা শ্রীযুক্ত সন্তোষ দাস মহাশয়ের তদারকিতে একটি টিম মহকুমায় সুবিধা ভুগিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খতিয়ে দেখেন।
উনার সাথে তদন্তকারি টিমে ছিলেন পানিসাগর মহকুমা শাসক লাল নুন নেইমি ডার্লং, ডি.সি সাগর দেব্বর্মা, মহকুমা খাদ্য আধিকারিক, তথ্য সংস্কৃতি দপ্তরের আই.সি, ও ইন্দ্রজিত সাহা সহ অন্যান্য আধিকারিক বৃন্ধরা।
তদন্তকারি টিমের সাথে ছিলেন পানিসাগর মহকুমার সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা। ঐ দিন মহকুমার জ্বলেবাসা, ইন্দুরাইল, নোয়াগাঙ, রৌয়া, বিলথৈ, সহ আশপাশ এলাকার বেশ কয়েকটি এলাকা জোড়ে এই তদন্ত কার্য সম্পন্ন করা হয়।
এছাড়াও মহকুমার বেশ কয়েকটি সরকারি নার্য্য মুল্যের দোকানে গিয়েও খোজ খবর নেওয়া হয়। জনগন তাদের প্রাপ্য রিলিপ প্যাকেজ এবং ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে ১,১১৬ টাকা পেয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখেন।
এক সাক্ষাতে অধিকর্তা জানান তিনি মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় পরিদর্শন করে মহকুমা প্রশাসন কতৃক সুষ্ঠু এবং নিষ্টার সাথে রিলিপ প্যাকেজ বিতরনের কাজ খতিয়ে দেখেন।
তিনি জানান পানিসাগর মহকুমা প্রশাসন আগে থেকেই ৯০ শতাংশ বিতরনের কাজ সম্পন্ন করে ফেলেছে। বাকি দশ শতাংশ গতকাল সম্পন্ন করা হয়েছে।
মহকুমার মোট ৩০ টি নার্য্য মুল্যের দোকানের মাধ্যমে মোট ১২,১৯৫ টি বেনিফিসিয়ারি পরিবারের মধ্যে এই রিলিপ প্যাকেজ বিতরন করা হয়।
এতে মহকুমা জেড়ে মোট দশ টি টিম এক হয়ে বিতরন কাজ চালিয়ে গেছে। জানা গেছে আজ পুনরায় পরিদর্শন কারি টিম টি তদন্ত শেষে আগরতলায় ফিরে যাবে।
0 মন্তব্যসমূহ