সবুজ ত্রিপুরা
১৮ জুলাই
রবিবার
ধর্মনগর প্রতিনিধি ঃ নেশার সাম্রাজ্য বিস্তারে পুলিশের চোখে ধুলো দিতে সময়ের সাথে সাথেই কারবারিরা তাদের ব্যাবসার ধরন বদল করছে। একটা সময় কারবারিরা নেশাখোরদের কাছে বিক্রি করতেন
নেশা সামগ্রী।এখন নেশার সাথে জড়িত একাংশ যুবকদের নিজ নিজ এলাকাতে গোপনে সম বয়সীদের মধ্যে নেশা সামগ্রী বিক্রি করার পন্থা নিয়েছে কারবারিরা।শনিবার এমনি এক ঘটনার সাক্ষী রইলো ধর্মনগর বাসি।কুখ্যাত এক নেশাকারবাড়ির বাড়ি থেকে নিজ
এলাকার জন্য পাইকাড়ি দরে ব্রাউন সুগার ক্রয় করে নিয়ে যাওয়ার পথে পুলিশের হাতে আটক হলো এক যুবক। ঘটনা উত্তর জেলার ধর্মনগরে।সংবাদের প্রকাশ শনিবার সকালে ধর্মনগর থানার পুলিশ
গোপন সূত্রে একটি খবর পেয়ে হুরুয়া এলাকায় উৎপেতে বসে ছিল। এরি মধ্যে টার্গেট অনুযায়ী একটি লাল রঙ্গের টি আর ০৫ ডি ০৪৬৭ নম্বরের গাড়ির পিছু ধাওয়া করে গাড়ি চালক রাসেল হোসেন সহ
গাড়িটি আটক করে পুলিশ ।সাথে সাথে গাড়িটিতে তল্লাশী করতেই বেড়িয়ে আসে আনুমানিক ১০০টি ব্রাউন সুগারের কৌটো।ব্রাউন সুগার পেতেই পুলিশ গাড়িটি সহ রাসেল হোসেনকে আটক করে
ধর্মনগর থানায় নিয়ে আসে। থানায় এনে রাসেলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সে পুলিশ কে জানায় তার বাড়ি কদমতলার ফুলবাড়ি এলাকায়। এবং সে এই ব্রাউন সুগার গুলো ধর্মনগর কামেশ্বরের সঞ্জয় কলোনি এলাকার কুখ্যাত ড্রাগস কারবারি পিংকাইর বাড়ি
থেকে ক্রয় করে নিজ এলাকা অর্থাৎ কদমতলা থানাধীন ফুলবাড়ির উদ্যেশে নিয়ে যাচ্ছিল। উল্লেখ্য পিংকাই নামের এই কুখ্যাত যুবকের বাড়িতে পূর্বেও পুলিশ নেশার কারবারের দায়ে একাধিক বার অভিযান চালিয়েছে কিন্তু তাকে আটক করতে পারেনি। দীর্ঘদিন ধরেই পিংকাই
ড্রাগসের ব্যবসার সাথে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে ।শনিবার পুলিশ ধৃত রাসেল হোসেনের বিবৃতি মোতাবেক আবারো সঞ্জয় কলোনি এলাকায় ছুটে যান।গিয়ে পিংকাই'র বাড়িতে চিরুনি তল্লাশি
চালিয়ে ড্রাগস কারবারি পিংকাইকেও পায় নি সাথে তল্লাশিসে তার বাড়ি থেকে কোন নেশা সামগ্রীও পুলিশের মেলে নি। অনুমান করা হচ্ছে,পুলিশি অভিযানের আঁচ পেয়ে পুলিশ আসার আগেই পিংকাই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।
0 মন্তব্যসমূহ