বিদ্যুৎ পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু যুবকের - Sabuj Tripura News

সবুজ ত্রিপুরা
১৪ জুন
সোমবার

বক্সনগর প্রতিনিধি:- কলমচৌড়া থানাধীন পুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ১ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম পাড়া এলাকার জুয়েল মিয়া(২৫) নামে এক ব্যক্তি কাজের উদ্দেশ্য রবিবার দুপুর এক ঘটিকার সময় আশাবাড়ি গ্রামের ৪ নং ওয়ার্ড এর মধ্যপাড়া এলাকায় একটি বুলেরো গাড়ি দিয়ে চার থেকে পাঁচ জন আসেন। আশাবাড়ি মধ্যপাড়া অঙ্গনারী সেন্টারের সামনে আসতেই বিদ্যুৎ দপ্তর এর খামখেয়ালীর কারণে নতুন লাইন দেওয়া কেবল তারটি মাটির মধ্যে পড়া অবস্থায় ছিল। 

\

সেই তারটি ঐ যুবক রাস্তা থেকে সরাতে গিয়ে রাস্তার পাশে ঐ গ্রামের রাসেল মিয়া নামে এক ব্যক্তির কলাবাগানের বেড়ায় হাত দিতেই বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে বেড়াতে হাত রাখা অবস্থায় ঝুলে থাকেন। উনার সাথে থাকা অন্যান্য শ্রমিকরা কোনরকমে বাঁশ দিয়ে আঘাত করে দেহটাকে তাঁর থেকে বিচ্ছিন্ন করেন। শমিকদের চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন এসে তড়িঘড়ি বিদ্যুৎপৃষ্ঠ যুবক জুয়েল মিয়া কে বক্সনগর সামাজিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসেন। 


হাসপাতালে নিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই কর্তব্যরত চিকিৎসক দীপ্তনীল নাথ তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার খবর কলমচৌড়া থানায় দিলে পুলিশ গিয়ে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে দেয়। তবে এই যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যুতে পরিবার সহ এলাকার লোকজন গভীর শোকাহত। তবে যুবকের এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে পরিবার সহ এলাকার লোকজনের অভিযোগ বিদ্যুৎ দপ্তর এর গাফিলতির কারণেই ঐ যুবককে অকালে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়তে হয়। 

অন্যদিকে আশাবাড়ীর প্রধান ও এলাকাবাসীর অভিযোগ গত কিছুদিন যাবত এই কেবল তার মাটির মধ্যে পড়া অবস্থায় ছিল। বারবার বিদ্যুৎ নিগমের অফিসে বিষয়টি সম্পর্কে অবগতি করার পরেও বিদ্যুৎ দপ্তর এর কোন কর্মী এই সমস্যার সমাধান করেন নি। বিশেষ করে বক্সনগর বিদ্যুৎ দপ্তরের গাফিলতির কারণেই কিছুদিন পূর্বেও নয়নজলা এলাকার এক মহিলাকেও মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়তে হয়। 

জুয়েল মৃত্যুকালে একটি পুত্র সন্তানও রেখে গেছেন, উনি একজন শ্রমিক। এখন প্রশ্ন হলো বিদ্যুৎ দপ্তরের গাফিলতির কারণেই যদি ঐ যুবকের  মৃত্যু হয় তাহলে উনার এই স্ত্রী ও পুত্র সন্তানকে কে রক্ষা করবে? বিদ্যুৎ দপ্তর থেকে যদি কোনো বড় ধরনের সাহায্য না পায় তাহলে মহিলাটি কি করে এই পুত্র সন্তানকে নিয়ে জীবন অতিবাহিত করবেন। উনার মৃত্যুতে গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।



একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu