পানিসাগর প্রতিনিধিঃ কোভিড ১৯ পরিস্থিতিতে গোটা দেশ জুরে প্রথম সারির যুদ্ধাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিরলস ভাবে কাজ করতে লক্ষ করা যায়।যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কোভিড সংক্রমনকে প্রতিহত করতে পর্যাপ্ত পরিমানে পরিকাটামো না থাকা সত্বেও ত্রিপুরার স্বাস্থ্য দপ্তর কঠোর সংগ্রাম করে চলেছে। এরই জ্বলন্ত বাস্তব চিত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে বিগত বেশ কিছু দিন যাবৎ উওর জেলার ছোট ছোট বেশ কয়েকটি হাসপাতালে এবং একটি দৃশ্য আজ বাস্তবিক রুপ পায়। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ আজ সকাল আনুমানিক সাতটা ত্রিশ মিনিট নাগাদ পানিসাগর থানার অন্তর্গত রামনগর দুই নং ওয়ার্ডের জনৈকা ১৯ বর্ষীয়া গৃহবধূ প্রসব যন্ত্রনা নিয়ে তিলথৈ হাসপাতালে ছুটে আসেন।
সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা উনার কোভিড পরিক্ষা করলে পজিটিভ সনাক্ত হয়। তিলথৈ হাসপাতালের স্থান সংকুলানের জন্য ঐ মহিলাকে অন্যত্র রেফার করার সীদ্ধান্ত নেওয়া হলেও প্রসূতি মায়ের প্রসবের সময় নির্ঘণ্ট অনুযায়ী অনেক দেরি হওয়াতে অন্যত্র পাঠানো ঝুঁকি হবার বিষয়টি মাথায় রেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডঃরাহুল সাহা এবং একজন স্টাফ নার্স তথা সিস্টার ইনচার্জ সুজিত দেব নাথকে নিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সকাল প্রায় আটটা পঞ্চাস মিনিট নাগাদ মায়ের সফল প্রসব সম্পন্ন হয়। এতে প্রসূতি মা ২.২ কিলো ওজনের ফুটফুটে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেয়। মা ও মেয়ে বর্তমানে সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছেন।
বিগত কিছুদিন পূর্বে ধর্মনগর থেকে ব্লাড প্রেশার জনিত সমস্যা নিয়ে এক মহিলা ভর্তি হওয়ার কয়েকঘন্টা অতিবাহিত হতে না হতেই আকস্মিক ভাবে মৃত্যুর কোলে ডলে পরে। পরবর্তীতে মৃতদেহ কোভিড পরিক্ষা করে পজেটিব সনাক্ত হয় এবং হাসপাতালটি কয়েক দিনের জন্য সম্পূর্ণ সীল করে দেওয়া হয়। এতে গ্রামীন এলাকার অসুস্থ মুমূর্ষু রোগিদের পরতে হয় ভীষণ অসুবিধায়। তাই আজ কোভিড মায়ের প্রসবের পরেও হাসপাতালটির বিভিন্ন জরুরি পরিষেবা খোলা রাখা হয়েছে। একান্ত এক সাক্ষাতে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডঃরাহুল সাহা জানিয়েছে শুধু মাত্র গোটা ত্রিপুরা তথা গোটা দেশ জুরে কোভিড ১৯ সংক্রামিত সময়ে কোন সুস্থ সবল শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মায়েরা যাতে সন্তান সম্ভবা না হন। অন্তত এই সময়টিতে সন্তান গর্ভধারণ না করাই বাঞ্ছনীয়। কারন এই সময়ে গর্ভস্থ সন্তানের পজেটিব আসার সম্ভাবনা খুব বেশি। যার ফলে এই ধরনের শিশুদের সংক্রমণের চিকিৎসা করা সম্ভব পর নয় বলে জানিয়েছেন।
এতে নবজাতক সন্তানদের জীবন সংশয়ের আশঙ্কাই বেশি থাকে। জানা গেছে সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আজকেই মা ও মেয়েকে হোম আইসোলেশনে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তবে ডক্টর রাহুল সাহার মতে কোভিড ১৯ পরিস্থিতিতে গোটা দেশ জুরে কেন্দ্রীয় স্বাস্হ্য মন্ত্রনালয়ের নিতি নির্দেশিকায় যেন এই গর্ভধারণের নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি আইন গত ভাবে জারি করা হয়। এতে করে আগামী প্রজন্মের নবজাতকেরা সুস্থ সবল পৃথিবী উপহার পাবে বলে তিনি মনে করেন।
0 মন্তব্যসমূহ