চুরাইবাড়ি প্রতিনিধিঃ উত্তর জেলার ত্রিপুরা অসম সীমান্তে কদমতলা থানাধীন ইচাইলালছড়া গ্রামে গতকাল রাতে সাফাই অভিযান চালায় নিশিকুটুম্বের দল।সংঘবদ্ধভাবে নিশিকুটুম্বের দল একই রাতে এগারোটি বাড়িতে সাফাই অভিযান চালায়। ইছাই লালছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ২,৩ এবং ৫ নং ওয়ার্ডের স্থানীয় এগারো জন গৃহস্থের বাড়িতে রাতের আধারে সংঘবদ্ধভাবে চোরের দল হানা দিয়ে নগদ অর্থ গয়না ও গৃহপালিত পশু নিয়ে যায়। যদিও এর পূর্বে পরপর ইচাইলালছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল। কিন্তু চোর ধরপাকড়াও করা দূরের কথা ঐ সব এলাকায় কদমতলা থানার টহলদারি ব্যবস্থা করেননি কদমতলা থানার ওসি কৃষ্ণধন সরকার।
কদমতলা থানার অকর্মণ্যতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গতকাল গভীর রাতে এগারোটি বাড়িতে হানা দেয় চোরের দল। একই রাতে এগারোটি বাড়িতে চোরের সাফাই অভিযান কদমতলা থানার ইতিহাসে প্রথম ঘটেছে। তাই আজ নিজের অস্তিত্ব রক্ষার্থে কদমতলা থানার গুণধর ওসি কৃষ্ণধন সরকার লোক দেখানোর নামে বিশাল পুলিশ ও টিএসআর বাহিনী নিয়ে ইচাইলালছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চুরি যাওয়া বাড়িতে ঝটিকা সফর করেন। তবে গৃহস্বামী থেকে শুরু করে ঐ এলাকার সাধারন জনগন থানার বড়বাবুর ঝটিকা সফর যে নাম কি ওয়াস্তে সার তা আর বুঝতে বাকি থাকেনি কারোর।
কেননা কদমতলা থানার ওসির দায়িত্বে কৃষ্ণধন সরকার আসার পর থেকে তীর জুয়া চুরি সহ নানা অসামাজিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে গুণধর ওসি বাবু সাধারণ জনগণকে নিরাপত্তা দিতে না পারলেও মুখে যে সর্বক্ষণ ফুলজুরি ছড়াচ্ছেন তা সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে পুলিশের উচ্চ আধিকারিকদেরও জানা। স্থানীয়দের অভিযোগ কদমতলা থানার গুণধর ওসির আশীর্বাদে থানার এক পুলিশ অফিসার কদমতলা থানা এলাকায় মাসিক চাঁদা কালেকশন এর বিশাল সাম্রাজ্যও গড়ে তুলেছেন।
তবে তাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মদত রয়েছে থানার বড়বাবুর। কদমতলা থানার গুণধর ওসির গুণকীর্তি নিয়ে স্থানীয় জনগণ পূর্বেও লিখিতভাবে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত ওসি বহাল তবিয়তে রয়েছেন। সুতরাং স্থানীয়রা জোরালো দাবি তুলছেন কদমতলা থানা এলাকায় কদমতলা পুলিশের টহলদারি সঠিকভাবে দেওয়ার জন্য। পাশাপাশি কদমতলা থানার ওসি কৃষ্ণধন সরকারের অন্যত্র বদলীর দাবি তুলছেন স্থানীয় জনগণ।
0 মন্তব্যসমূহ