নেশা বিরোধী কাজে ব্যর্থতার জন্য আবারও সংবাদের শিরোনামে কদমতলা থানার বড়বাবু কৃষ্ণধন সরকার - Sabuj Tripura News

সবুজ ত্রিপুরা
২৫ জুন, ২০২০
বৃহস্পতিবার


চুরাইবাড়ি প্রতিনিধিঃ নেশা বিরোধী কাজে ব্যর্থতার জন্য আবারও সংবাদের শিরোনামে উঠে এলেন কদমতলা থানার ওসি কৃষ্ণধন সরকার। ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, আজ উত্তর জেলা পুলিশ আধিকারিকদের উদ্যোগে উত্তরের দক্ষিণ কদমতলা এলাকায় নেশা বিরোধী অভিযানে ৯ হাজার নেশাজাতীয় ইয়াবা ট্যাবলেট সহ আটক দুই নেশা কারবারি।

ধৃত নেশা কারবারিরা হলেন আকদ্দস আলি(৫৫) এবং অমিত দাস(২৯)। অমিতের বাড়ি খোয়াইয়ের দূর্গানগর এলাকায়। উদ্ধারকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটের বাজার মূল্য প্রায় ২০ লক্ষ টাকা। কদমতলা থানার পুলিশ এনডিপিএস ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে।

উত্তর জেলার পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ধর্মনগর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রাজীব সূত্রধর চুরাইবারি থানার ওসি জয়ন্ত দাস, কদমতলা থানার ওসি কৃষ্ণধন সরকারকে সাথে নিয়ে বিশাল পুলিশবাহিনী সহযোগে কদমতলা থানাধীন দক্ষিণ কদমতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩ নং ওয়ার্ডে নেশা বিরোধী অভিযান চালান। দক্ষিণ কদমতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩ নং ওয়ার্ডের আকদ্দস আলির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ঘর থেকে নেশাজাতীয় ৯ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে পুলিশ। সাথে আটক করা হয় বাড়ির মালিক আকদ্দস আলী (৫৫) ও অমিত দাস ওরফে সাগর (২৯) নামের এক যুবককে। জানা গেছে সাগরের বাবার নাম অমর দাস। বাড়ি খোয়াইয়ের দুর্গানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১ নং ওয়ার্ডে। আগামীকাল তাদের ধর্মনগর জেলা আদালতে প্রেরণ করবে কদমতলা থানার পুলিশ।

এদিকে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রাজিব সুত্রধর জানান, জেলা পুলিশ সুপারের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নেশাজাতীয় ইয়াবা ট্যাবলেট সহ দুই নেশা কারবারিকে আটক করতে সক্ষম হয়েছেন। কিন্তু এই নেশা পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত সাদ্দাম হোসেন অর্থাৎ ধৃত আকদ্দস আলির ছেলেকে পুলিশ খুঁজে পায়নি। খুব শীগ্রই এই নেশা কারবারের সাথে জড়িত সাদ্দাম হোসেনকে জালে তুলতে সক্ষম হবে পুলিশ। মহকুমা পুলিশ আধিকারিক আরো জানান, উদ্ধারকৃত ৯ হাজার ইয়াবা ট্যাবলেটের বাজার মূল্য প্রায় কুড়ি লক্ষ টাকা। পাশাপাশি কদমতলা থানার পুলিশ এনডিপিস ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তে শুরু করে দিয়েছে।

অপরদিকে জেলা পুলিশ সুপার ও মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের উদ্যোগে কদমতলা থানা এলাকায় নেশা বিরোধী অভিযান করে বিশাল সাফল্য পেলেও স্থানীয় থানার ওসি মহোদয় অজ্ঞাত কারনে নেশা বিরুধি কাজে নিরব থাকেন। দীর্ঘদিন থেকে কদমতলা থানা এলাকায় নেশা কারবারীদের বাড়বাড়ন্ত বৃদ্ধি হলেও এসবে নাক না গলিয়ে মর্জিমাফিক থানা পরিচালনা করছেন ওসি মহোদয়। বিশেষ সূত্রে জানা যায় গোয়েন্দা পুলিশ বারবার কদমতলা থানার ওসি বাবুকে নেশা কারবারিদের ব্যাপারে অবগত করলেও গোয়েন্দা পুলিশের কোন কথা কর্ণপাত করেননি। অবশেষে উত্তর জেলার পুলিশ সুপারের গোপন সূত্রের ভিত্তিতে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক নেশা বিরোধী অভিযান চালিয়ে সাফল্য কুড়াতে সক্ষম হন। 

সুতরাং স্থানীয় এলাকায় ওসির ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। সাধারন মানুষের অভিমত কদমতলা থানার ওসির এহেন কর্ম কাণ্ডে সরকারের ভাব মূর্তি নষ্ট হছে যা আগামী দিনে বড় আকার ধারন করতে পারে। সুত্রের খবর রাজ্যের শীর্ষ স্থানিও নেতৃত্বও কদমতলা থানার বড়বাবুর কাজে অসন্তোষ ব্যক্ত করেন।
 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu