সবুজ ত্রিপুরা
২২ জুন, ২০২০
সোম
বার
বিশেষ প্রতিনিধিঃ পর্যটন ক্ষেত্র শুধুমাত্র বিদেশি মুদ্রাই আয় করে তা নয়। পর্যটন ক্ষেত্র কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে এবং মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ককে সুদৃঢ় করে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পর্যটনের সম্ভাবনাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর অ্যাক্ট ইন্ট পলিসিতে পর্যটন বিশেষ জায়গা পেয়েছে। আজ আই আই এম এম ই সিমলা সিয়াম- ২০২০ অনুষ্ঠানে উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা একখা বলেন। এই ভার্চুয়াল সিমপোসিয়ামের উদ্যোক্তা ডঃ এপিজে আব্দুল কালাম সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ এন্ড এনালিসিস, আই আই এম শিলং।
সিমপোসিয়ামে আলোচনার বিষয়বস্তু ছিলো ইমারজেন্ট নর্থ ইস্ট ইন্ডিয়া, স্ট্রেটেজিক এন্ড ডেভেলপমেন্ট ইমপারেটিভস। আলোচনায় অংশ নিয়ে উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা বলেন, আমাদের দেশের ৮ শতাংশ এলাকা নিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চল। এই অঞ্চলের জনসংখ্যা দেশের মোট জনসংখ্যার ৩.১ শতাংশ। এই অঞ্চলের ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং বিশেষ প্রাকৃতিক সম্পদ এখনও অনাবিষ্কৃত।
যা প্রতিবেশি মায়ানমার এবং বহির্বিশ্বের পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে। উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, পর্যটন শুধুমাত্র উন্নয়নের মাধ্যমে নয়, এটা কর্মসংস্থান বৃদ্ধির ও অংশ। সমীক্ষকদের মতে এই ক্ষেত্রটিতে চূড়ান্ত দক্ষ মানুষের পাশাপাশি অদক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। তথ্য অনুযায়ী দেশের গড় অভ্যান্তরীণ উৎপাদনের ৬.৬ শতাংশ আসে পর্যটন ক্ষেত্র থেকে। তাছাড়া মোট কর্মসংস্থানের ৭.৭ শতাংশ সৃষ্টি হয় পর্যটন ক্ষেত্রে। আলোচনায় উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, চিন এবং মায়ানমার এই আটটি দেশের সীমান্ত রয়েছে।
তাই উত্তর-পূর্বাঞ্চল দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে ভারতের যোগাযোগের করিডর হয়ে উঠতে পারে। এই অঞ্চলের অপার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, বৈচিত্র্যের মাঝে ঐক্য, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, দেশি বিদেশি পর্যটকদের কাছে নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে আসতে পারে। উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, এজন্য প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা এবং তার রূপায়ণ। ইতিমধ্যেই এই কাজ শুরু হয়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ