চুরাইবাড়ি প্রতিনিধি: পার্শ্ববর্তী রাজ্য অসমের করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দির বৈঠাখাল বাগান থেকে গরু চুরি কান্ডের একদিনের মাথায় ৪ দাগি চোরকে হাতে নাতে পাঁকড়াও করতে সক্ষম হলেন পুতনি বাগানের ভিডিপি কর্মি সহ স্থানীয় জনতা। এদের দুজনের ঘর এদেশে হলেও অন্য দুজনের ঘর বাংলাদেশে। তবে গণ পিটুনিতে এদের একজনের মৃত্যু হবার খবর পাওয়া গেছে। জানা গেছে গতকাল রাতে উক্ত চোরের দলটি পুতনির চাম্পাবাড়ি এলাকায় প্রবেশ করে এক কৃষকের ঘর থেকে গরু চুরি করতে গেলে টের পেয়ে যান গরুর মালিক। পরে তিনি বিষয়টি মোবাইল যোগে বাগানের অন্যান্যদের জানিয়ে দিলে সবাই মিলে চোরদের ঘেরাও করে আটক করতে সক্ষম হন।
তখন রাতের অন্ধকারে গণ প্রহারে এক চোরের বেঘোরে প্রাণহানি ঘটলেও বাকিদের আজ পাথারকান্দি পুলিশের হাতে সমঝে দেন স্থানীয়রা। মৃত চোরের নাম রঞ্জিত মুন্ডা(৩০)। বাড়ি বাংলাদেশের মৌলভিবাজারের সোনারোপা বাগানে। অন্যদের মধ্যে রয়েছে প্রদীপ তাঁতী(৪০) উমাশংকর কৈবর্ত(৩৫) ও মলেন মুন্ডা(৩২)। মলেনের বাড়ি বাংলাদেশের মৌলভিবাজারে ছিলুয়া বাগানে। বর্তমানে তাদেরকে থানায় আটকে রেখে জোর জিজ্ঞাসা চালাচ্ছে অসম পুলিশ। খবর পেয়ে ঘটনার তদন্তে পাথারকান্দিতে ছুটে এসেছেন করিমগঞ্জ ডিএসপি সুধন্য শুক্লবৈদ্য সহ বোর্ডার এসপি প্রশান্ত ভূঁইয়া। তারা মৃতদের উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য করিমগঞ্জে প্রেরনের পাশাপাশি আটক চোরদের সম্পর্কে বিস্তর তথ্য জানতে টানা জেরা সহ গণপিটুনিতে এক চোরের মৃত্যু জনিত কারনের রহস্য জানতে গোটা এলাকা চষে বেড়ানোর খবর পাওয়া গেছে।
অপরদিকে অসম পুলিশের জেরায় ধৃত ৩ চোর চুরির কথা স্বীকার করেছে এবং ঐ রাতে চুরি কাণ্ডে বাংলাদেশ ও ভারতের মোট ৭ জনের একটি চোরের দল ছিল বলেও তারা দাবি করেছে। স্থানীয়রা তাদের মধ্যে থেকে ৪ জনকে আটক করেছে কিন্তু বাকি ৩ চোর পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। আর জনতার গণপিটুনিতে রঞ্জিত মুন্ডা নামের এক চোরের মৃত্যু হয়েছে বলে ধৃত চোরের দল স্বীকার করেছে। পালিয়ে যাওয়া ৩ দাগি চোরকে জালে তুলতে ইতিমধ্যে অসম পুলিশ মাঠে নেমে পড়েছে।
ছবিঃ কিশোর রঞ্জন হোড়
0 মন্তব্যসমূহ