অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে বিষাক্ত গ্যাস দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহত ৮, আহত অনেক


অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে বিষাক্ত গ্যাস দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহত  ৮, আহত অনেক

সবুজ ত্রিপুরা, নিজস্ব প্রতিনিধি, ৭ মে : অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে রাসায়নিক কারখানায় বিষাক্ত গ্যাস দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত  অন্তত ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ২০০ জনেরও বেশি মানুষ। তাঁদের বিশাখাপত্তনমের কিং জর্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শ্বাসকষ্টের সমস্যা তৈরি হয়েছে অন্তত প্রায় ১০০০ জনের। অসুস্থদের মাথা যন্ত্রণা, বমি ভাব ও শ্বাসকষ্টের উপসর্গ দেখা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যেও অনেকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বৃহস্পতিবার ভোরের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশের এই শহরে। 
মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, বিশাখাপত্তনমের আর আর ভেঙ্কটপুরমে অবস্থিত এলজি পলিমার সংস্থার রাসায়নিক কারখানায় বৃহস্পতিবার ভোরে হয় এই দুর্ঘটনা।  লকডাউনের মধ্যে কীভাবে গ্যাস লিক হল তা নিয়ে তদন্ত শুরু  করছে পুলিশ। কারখানায় লকডাউনের নিয়ম ভেঙে কাজ হচ্ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সংস্থার নামে নোটিস জারি করা হয়েছে। 

অন্ধ্রের ডিজিপি দামোদর গৌতম জানালেন, ‘‌রাত আড়াইটে নাগাদ ওই পলিমার কারখানা থেকে বিষাক্ত স্টিরিন গ্যাস লিক করতে থাকে। সংলগ্ন এলাকার সাতজন বাসিন্দা গ্যাসে দমবন্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। একজন পালাতে গিয়ে কুয়োয় পড়ে মারা যান।  ঘটনাস্থলে গিয়েছে এনডিআরএফ এর দল। সংলগ্ন গ্রামগুলির বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবুও এখনও কেউ কোনও বাড়িতে রয়ে গিয়েছেন কিনা তা জানতে পুলিশ প্রতিটি ঘরে গিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে।’‌ 


অসুস্থদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী জগনমোহন রেড্ডি। মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে, পুরো ঘটনার দিকে নিজে নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলা প্রশাসনকে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ করতেও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এদিকে, রাসায়নিক গ্যাস দুর্ঘটনার ঘটনায় সকাল ১১টায় বিশেষ বৈঠক ডাকেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। 




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

Close Menu